পরীক্ষা-নিরীক্ষায় নয়, উপসর্গ শুনে সনাক্ত হচ্ছে চিকুনগুনিয়া
রিকু আমির : চিকিৎসকরা মশাবাহিত চিকুনগুনিয়া রোগ সনাক্ত করছেন শুধুমাত্র উপসর্গ শুনে। রোগটি সনাক্তে সুনির্দিষ্ট যে পরীক্ষা করার দরকার, তার ব্যবস্থা আছে শুধুমাত্র মহাখালীস্থ রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা কেন্দ্র (আইইডিসিআর)-এ। এমন অবস্থাতেও চিকিৎসকরা বলছেন, চিকুনগুনিয়া নিয়ে আতংকিত বা ভীত-সন্ত্রস্ত হবার কিছু নেই।
আইইডিসিআর- এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এম সেলিমুজ্জামান বুধবার বিকালে এ প্রতিবেদককে বলেন, পিসিআর হচ্ছে চিকুনগুনিয়া সনাক্তের পরীক্ষা। রক্ত থেকে এটা করা হয়। বর্তমানে দেশে এটি করার ব্যবস্থা আছে শুধুমাত্র আইইডিসিআরেই। এই পরীক্ষা সবার জন্যই উন্মুক্ত, বিনামূল্যে করা হচ্ছে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ লাগবে।
এক প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. খায়রুল বাশার বলেন, পিসিআর পরীক্ষার ব্যবস্থা অত্যন্ত সীমিত হওয়ায় সিবিসি পরীক্ষার মাধ্যমে ডেঙ্গু হয়েছে কিনা দেখা হয়। না হলে চিকুনগুনিয়া বলে দেয়া হয়। তবে উপসর্গ মিলতে হবে। চিকুনগুনিয়া নিয়ে আতংকিত বা ভয় পাবার কিছু নেই। সাধারণ চিকিৎসা ও যতœআত্তিতে এটি নিরাময়যোগ্য।
এদিকে চিকুনগুনিয়া ও ডেঙ্গু নিয়ে ফেসবুকে মাতামাতি থাকলেও স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসেবে আক্রান্তের সংখ্যা খুবই কম। তাদের তথ্যমতে, সাম্প্রতিককালে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে মাত্র ৩৩ জন সম্ভাব্য চিকুনগুনিয়ার রোগী ভর্তি হন। এর মধ্যে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ১২, সালাউদ্দিনে ৮, মিটফোর্ডে ৫ জন, ইবনেসিনায় ৩, পপুলারে ২, মুগদা ১, স্কয়ারে ১ ও শহীদ সোহরওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ জন।
অন্যদিকে চলতি বছর ডেঙ্গু জ্বরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩২২ জন। চলতি মাসে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ জন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৯ জন। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ