কোমির অভিযোগ ভিত্তিহীন : ট্রাম্পের আইনজীবী
ডেস্ক রিপোর্ট : ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাবেক এফবিআই প্রধান জেমস কোমি মিথ্যাচারের যে অভিযোগ তুলেছেন তা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী মার্ক কাসোউইৎজ। বিডিনিউজ
কাসোউইৎজ বলেন, গত বছর নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার সম্ভাব্য হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্তে কখনোই বাধা দিতে চাননি ট্রাম্প। বরং তিনি কোমির দিকে আঙুল তুলে বলেন, কোমি যেসব তথ্য গণমাধ্যমে ফাঁস করেছেন সেগুলো নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। তিনি বলেন, ‘আজ কোমি স্বীকার করলেন, তিনি একতরফা এবং প্রতারণামূলকভাবে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে গোপন বৈঠকের তথ্য অনুমতি ছাড়াই গণমাধ্যমের কাছে প্রকাশ করেছেন।’ ‘অন্যান্য তথ্য ফাঁসের ঘটনাগুলো যেভাবে তদন্ত হয়েছে এই ঘটনাও সেভাবে তদন্ত হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের হাতে ছেড়ে দেব।’
এক বিবৃতিতে কাসোউইৎজ আরও বলেন, ‘কোমির এই সাক্ষ্যই শেষ পর্যন্ত জনসম্মুখে এটা নিশ্চিত করেছে যে, নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নিয়ে কোনো তদন্ত হচ্ছে না।’
নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ তদন্তকারী সিনেট কমিটির শুনানিতে বৃহস্পতিবার হাজির হয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্তে বাধা এবং সেটা নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগ করেন কোমি।
কোমির অভিযোগগুলো মধ্যে অন্যতম: * রাশিয়া ২০১৬ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে।
* সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনকে নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে সে কাজ বন্ধ করতে বলেছিলেন বলে দাবি করেন কোমি। ট্রাম্পের নির্বাচনি শিবিরের অন্যতম প্রধান কর্মকর্তা ছিলেন ফ্লিন। * প্রেসিডেন্ট তার আনুগত্য চেয়েছিলেন বলেও দাবি করেন কোমি। * নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্ত প্রক্রিয়ায় কিছু পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন বলেই হয়তো তাকে বরখাস্ত করা হয় বলে মনে করেন কোমি। * তবে ট্রাম্প রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে তদন্ত বন্ধ করার চেষ্টা করছেন কিনা সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান কোমি। * ট্রাম্পের কার্যক্রম ন্যায়বিচার পরিপন্থী কিনা এমন প্রশ্নের জাবাবে কোমি বলেন, এ বিষয়ে তার পক্ষে কিছু বলা সম্ভব না।
গণমাধ্যমে প্রচারিত এই শুনানি হোয়াইট হাউসে বসে ট্রাম্পও দেখেন বলে এক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে। তার পরপরই হোয়াইট হাউসের এক প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, প্রেসিডেন্ট মিথ্যাবাদী নন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ