একজন প্রাক্তন সেনা কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার
তদানীন্তন পাকিস্তানে পাকিস্তান আর্মিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ পান খুব কম সংখ্যক বাঙালি। প্রথম বড় সুযোগ আসে ৬৫-এর পাক ভারত যুদ্ধের সময়। তখন যুদ্ধের প্রয়োজনে বেশকিছু বাঙালি অফিসারকে নেওয়া হয় পাক আর্মিতে। সেই সময়কার পাকিস্তান আর্মিতে থাকা আর্মি অফিসারদের কাছে রয়েছে সেই সময়ে পাক আর্মিতে ঘটে যাওয়া বেশকিছু ঘটনার গল্প। হঠাৎই সুযোগ হয়, ৬৫-এর ভারত-পাক যুদ্ধের সময় আর্মি মেডিকেল কোরে সুযোগ পাওয়া জনৈক সেনা অফিসারের সঙ্গে কথা বলবার। জানা যায়, মজার কিছু ঘটনা।
প্রশ্ন: দেশের জনগণকে কি মোটামুটি দুটো গ্রুপে ভাগ করা যায়? ক্যাম্প-৪৭, যাদের বক্তব্য দেশভাগ সঠিক ছিল আর আমাদের মুসলিম আইডেন্টিটি সবার আগে, আর অপরটা হচ্ছে ক্যাম্প-৭১ অর্থাৎ ধর্মীয় পরিচয় পেছনে ফেলে, বাঙালি পরিচয়কে সামনে নিয়ে আসা। আপনি কি একমত?
উত্তর: একমত। যেমন আমার কথাই বলতে পার। দেশভাগের আগে তো মালদাতেই ছিলাম। ৪৭-এর সময়টাতে আসলেই, আমাদের ওপর উৎপাত শুরু হয়ে যায়। চাঁদা দেন, থেকে শুরু করে বিভিন্নভাবে ঝামেলায় ফেলা, গায়ে পড়ে ঝগড়া বাধানো, এসব ব্যাপার চলতে থাকে। ফলে আমরা বাধ্য হই চলে আসতে।
প্রশ্ন: অর্থাৎ দেশভাগ ব্যাপারটার সঙ্গে আপনি একমত।
উত্তর: সেই সময়ের প্রেক্ষাপটে,
বা বলা যায় অবস্থা যা তৈরি হয়েছিল, সেই অবস্থার প্রেক্ষিতে, মুসলমানদের জন্য তখন আলাদা দেশ জরুরি ছিল।
প্রশ্ন: কিন্তু সেই মুসলমান পরিচয় তো তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের জন্য এমন কোনো সুবিধা এনে দেয়নি।
উত্তর: সেটাও ঠিক। পশ্চিম পাকিস্তান আমাদের বেশ তাচ্ছিল্যের সঙ্গেই ট্রিট করত। যা সিদ্ধান্ত ওরাই নেবে আর আমাদের ওপর চাপিয়ে দেবে এবং আমাদের তা মেনে নিতে হবে। আমরা যদি কিছু চাই, দশবার ঘ্যানঘ্যান করার পরে হয়তো একবার শুনবে। দশ টাকা চাইলে হয়তো এক টাকা দেবে, এ রকম ব্যাপার আর কি। এই ছিল ওদের মানসিকতা।
প্রশ্ন: এরপরে প্রথম ধাক্কা খেল ৫২-তে?
উত্তর: হ্যাঁ।
প্রশ্ন: কিন্তু কাজটা করতে গিয়েছিল কেন?
উত্তর: তখন পাকিস্তানের যে কয়টা প্রদেশ ছিল, তার কোনোটারই ভাষা কিন্তু উর্দু ছিল না। ওদিকে আবার জিন্নাহ কিংবা লিয়াকত আলী, এদের মাতৃভাষা ছিল উর্দু। সেটা একটা কারণ হতে পারে।
প্রশ্ন: প্রায়ই বলা হয়, আর্মিতে বাঙালিরা ছিল বেশ উপেক্ষিত, এ ব্যাপারে আপনার অভিজ্ঞতা কি? আর্মিতে বাঙালিদের সত্যিকারের অবস্থা কি ছিল?
উত্তর: আমাদের, অর্থাৎ বাঙালিদের প্রতি ওদের অ্যাটিচ্যুড ছিল এরা পাতলা শাতলা, আর তাই এরা হচ্ছে দুর্বল টাইপের লোকজন। শারীরিক দিক দিয়ে কথাটা কিছুটা ঠিকও ছিল। পাঠানদের তো শরীর স্বাস্থ্য বেশ লম্বা, চওড়া। ফলে আর্মিতে সাধারণত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে খুব কম লোক নেওয়া হতো। আর ওপরের দিকের পোস্টে তো বাঙালি ছিলই না বলা যায়। নাম কা ওয়াস্তে একটা ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ছিল। তবে পরিস্থিতি পাল্টালো সিক্সটি ফাইভ ওয়ারের পরে।
প্রশ্ন: কি হলো তখন?
উত্তর: আসলে সেই যুদ্ধে বেশকিছু ঘটনা ঘটেছিল। যুদ্ধটা তো হয়েছিল কাশ্মীর নিয়ে। কাশ্মীরের যে এলাকা পাকিস্তানের অধীনে আছে, ওটা একটু উঁচু এলাকা আর ভারতের অধীনে থাকা এলাকাটা অপেক্ষাকৃত নিচু। ফলে যুদ্ধ যখন শুরু হলো, তখন ভারত নিচু এলাকায় থেকে উঁচু এলাকার সঙ্গে যুদ্ধ করে পেরে উঠছিল না। কিন্তু পাকিস্তান ভুল যেটা করেছিল, তা ছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান এমনকি লাহোরও ওরা অরক্ষিত রেখে দিয়েছিল। পাঠানদের বুদ্ধি তো, ওরা ভেবেছিল, কাশ্মীরে যুদ্ধ হচ্ছে, যুদ্ধ সেখানেই সীমাবদ্ধ থাকবে। কাশ্মীরে পেরে উঠছে না দেখে ভারত তখন লাহোর আক্রমণ করে বসল।
প্রশ্ন: তারপর?
উত্তর: সৈন্য তো বিভিন্ন লেয়ারে সাজানো থাকে। তো লাহোরে সামনের লেয়ারে ছিল ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। তাদের পেছনে ছিল পাঞ্জাব রেজিমেন্ট। লাহোর অ্যাটাকের পরে, দেখা গেল পেছনে থাকা পাঞ্জাব রেজিমেন্ট পুরোটাই পালিয়েছে। যুদ্ধ করছে শুধু ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট আর দুর্দান্তভাবে যুদ্ধ করছিল। ভারত যদি আরও আক্রমণ করত তবে হয়তো জিতেও যেত। কিন্তু ওরা ভাবল পেছনে আরও সৈন্য আছে, ফলে ওরা বেশি এগোল না। এর মধ্যে তো সিসফায়ারই হয়ে গেল।
প্রশ্ন: তারপরে? আর্মিতে লোক নেওয়া শুরু হলো?
উত্তর: এরপরেই মূলত প্রথমবারের মতো ওরা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানকে অন্য নজরে দেখতে শুরু করল। এখানকার ডেভেলপমেন্টের জন্য টাকা আসতে লাগল, আর্মিতে লোক নেওয়া শুরু করল এখান থেকে। এমনকি আইয়ুব খান নিজেও বলেছিল, আমার রেজিমেন্টগুলোর মধ্যে বেস্ট হচ্ছে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট। কিন্তু ততদিনে ছয় দফা দানা বেঁধে গেছে। আর আইয়ুব খানও বুঝল আর থাকতে পারবে না। এখানে আরেকটা মজার গল্প আছে।
প্রশ্ন: কি সেটা?
উত্তর: আইয়ুব খান যখন ক্ষমতা ছাড়বে ছাড়বে করছে সেই সময়ের ঘটনা। আর্মিতে তো নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হয়। তো একদিন সবাই আলাপ করছি কে হতে পারে নেক্সট কমান্ডার ইন চিফ (সি-ইন-সি)। আড্ডায় যে যে আছি, সবাই একেক জনের নাম বলছি। তখন ইয়াং করে একজন অফিসার, বলল যে ইয়াহিয়া খান হবে নেক্সট সি-ইন-সি।
প্রশ্ন: তারপর?
উত্তর: সবাই ব্যাপারটা হেসে উড়িয়ে দিল। কারণ ইয়াহিয়া খান ছিলেন বেশ কয়েকজনের নিচে। লুজ ক্যারেক্টারের একটা লোক। সবসময় থাকত মদের উপরে। যাই হোক, একসময় যথারীতি আড্ডা শেষ হলো। তখন একজন বয়স্ক অফিসার আমাকে ডেকে বলল, ও কিন্তু ঠিকই বলেছে। ইয়াহিয়া খানই হতে যাচ্ছে নেক্সট সি-ইন-সি। আমি তখন জিজ্ঞেস করলাম কেন? উনি বললেন, আইয়ুব খান এই বদ লোকটাকে এজন্যই প্রেসিডেন্ট বানাচ্ছে, ওর বিচ্ছিরী দেশ পরিচালনার পরে যেন সবাই বলে এর চেয়ে আইয়ুব খানই ভালো ছিল। কিন্তু ওর মাথায় যা বুদ্ধি, ওর এই অ্যানালাইসিস করতে পারার কথা না। তুমি একটু ওর সঙ্গে আলাপ করে জেনো তো, ও কিভাবে জানতে পারল খবরটা?
প্রশ্ন: জানতে পারলেন?
উত্তর: হ্যাঁ। ওকে উসকাতে লাগলাম। ‘তুমি কেন ইয়াহিয়া খানের নাম বলতে গেলা, সবাই তোমাকে বেকুব ভাবছে।‘ ‘সত্যি করে বলো তো কার কাছে শুনে তুমি এমন বোকার মতো কথা বললা?’ এভাবে বলতে বলতে একসময় ও রেগে গেল। তখন বলল, আমি কি করব, আমাকে তো ওই প্রস্টিটিউটই এই কথা বলল।’ আমি বললাম কোন প্রস্টিটিউট? ও বলল, যে প্রস্টিটিউটের কাছে গতকাল রাতে আইয়ুব খান গিয়েছিল।
প্রশ্ন: তারপর?
উত্তর: আমি সেই সিনিয়র অফিসারকে জানালাম। উনি সব শুনে বললেন, তাহলে এটা কনফার্ম নিউজ।
প্রশ্ন: বাট ইয়াহিয়া খান তো সুন্দর একটা ইলেকশন করাল। কিন্তু ক্ষমতা ছাড়ল না কেন?
উত্তর: ভুট্টোর বুদ্ধিতে। দুজন তো ছিল মদের পার্টনার। আসলে আইয়ুব খান যখন ভুট্টোকে মিনিস্ট্রি থেকে বের করে দিল, তখন ভুট্টোর জেদ চেপে গিয়েছিল প্রাইম মিনিস্টার হওয়ার। ইলেকশনে যখন জিততে পারল না, তখন ও গো ধরল দরকার হলে দুই অংশের দুটো প্রাইম মিনিস্টার হবে, তাও ওর প্রাইম মিনিস্টার হওয়া চাই। বাট সেটা তো সম্ভব না।
প্রশ্ন: কিন্তু অ্যাটাক করল কেন?
উত্তর: ভুট্টো ইয়াহিয়াকে বুঝাল, শেখ মুজিবের হাতে ক্ষমতা ছাড়লে, দেশটাকে ও ভারতের অধীন করে ফেলবে। আর এই ব্যাপারে ওরা একেবারে স্ট্রিক্ট। মরে যাবে তবু ভারতের অধীনে যাবে না।
প্রশ্ন: ওরা হারল কেন? আমাদের তো সেই অর্থে তেমন কোনো অস্ত্রও ছিল না। ভারতও জুন জুলাইয়ের আগে সেভাবে হেল্প করেনি।
উত্তর: এই যুদ্ধের জন্য তো আসলে ওদের কোনো প্রিপারেশান ছিল না। আর্মির নিয়ম কি? কোথাও যুদ্ধে যাওয়ার আগে, সেখানকার জিওগ্রাফিকাল একটা স্টাডি ওদের করতে হয়। এখানকার তেমন কোনো স্টাডি ওদের কাছে ছিল না। কোথায় নদী-নালা, কোথায় জঙ্গল কিছুই ওরা জানে না। আর ওদেরকে তো পাঠানো হয়েছিল এই বলে যে, এখানকার হিন্দুরা দেশটাকে ভারতের হাতে দিয়ে দিতে চাচ্ছে। প্রথম প্রথম তো ইয়ং কাউকে দেখলেই মেরে ফেলত। তারপর ওরা দেখল যে এদেশের বেশিরভাগই তো মুসলমান। মসজিদে যাচ্ছে, নামাজ পড়ছে। অনেক সময় তো দেখা গেছে মসজিদ থেকে বের হওয়া লোকদেরকে এসে জিজ্ঞেস করত, ‘মুক্তি কাঁহা?’ মানে ওরা ধরে নিয়েছিল, মুসলমানরা ওদের ফেভারে, কেবল হিন্দুরা যুদ্ধ করছে।
প্রশ্ন: কিন্তু জুন জুলাই পর্যন্ত তো আমরা হারছিলাম।
উত্তর: আসলে ওরা ভেবেছিল, গুটিকয়েক লোককে মারলেই বাকিরা ভয়ে হাল ছেড়ে দেবে। ওদিকে ভারতও হেল্প করছিল না। শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছিল, কিন্তু মিলিটারিলি হেল্প করছিল না। আর মুক্তিবাহিনীর সুবিধা ছিল, এলাকা ওদের জানা। টুক করে মেরে দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। ওরা তখন ধাওয়া করে আর খুঁজে পাচ্ছিল না। এলাকা অপরিচিত। আসলে মুক্তিবাহিনী যখন কাউন্টার অ্যাটাক শুরু করল, ওরা তখন পাজলড হয়ে গিয়েছিল।
প্রশ্ন: শেষের দিকে ভারতকে আক্রমণ কি, ফেস সেভিং এর জন্য?
উত্তর: হ্যাঁ। আর্মি হিসেবে তো ওদের একটা নিজস্ব অহংকার ছিল। মুক্তিবাহিনীর মতো নভিস একটা বাহিনীর কাছে হারা, তো ওদের জন্য একটা প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে যেত। নিজের দেশে ওরা মুখ দেখাতে পারত না। তাই শেষে এসে অ্যাটাকটা করেছিল। আর সবাইকে দেখাল, একটা বড় আর্মির কাছে হারলাম। আর সেটাও আমার ধারণা, অনেকটা চুক্তি করেই করেছিল। ভারতীয়রা কিন্তু খুব বেশি পাকিস্তানি আর্মি মারেনি। পাকিস্তানি আর্মি যা মরেছে, মুক্তিবাহিনীর হাতেই মরেছে।
প্রশ্ন: মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আরও কিছু ব্যাপার আছে, যা নিয়ে বিতর্ক কিংবা রাজনীতি দুটোই চলছে। তার একটা হচ্ছে স্বাধীনতার ঘোষণা। আর এদেশের দুই বড় রাজনৈতিক দল, নিজের ফায়দার জন্য ব্যাপারটা ব্যবহার করছে। এ ব্যাপারে আপনার দৃষ্টিকোণটা কি?
উত্তর: প্রথমত ঠিক সেই মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা চাইতেন কি না, তা বলা সম্ভব না। তবে বঙ্গবন্ধু নিজে যদি তখন স্বাধীনতার ঘোষণা দিতেন, তাকে বিদ্রোহ দমনের নামে সঙ্গে সঙ্গেই মেরে ফেলত। এ ব্যাপারটা সম্ভবত তিনি নিজেও জানতেন। তাই ৭ মার্চের ভাষণে উনি যতটা সম্ভব ডিরেকশান দিয়ে গিয়েছিলেন। পুরো টেক্সটটা পড়ে দেখো, এর অনেক ধরনের অর্থ বের করা যায়। স্বাধীনতা ঘোষণা করেননি, আবার করেছেনও। ব্যাপারটা ওপেন এন্ডেড রেখেছেন। যদি ক্ষমতা আমাদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়, তবে কোনো আন্দোলন হবে না, আর যদি গুলি চলে, তবে স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করে দিতে হবে।
প্রশ্ন: জিয়াউর রহমানের ঘোষণা?
উত্তর: কালুরঘাট থেকে প্রথম যে ঘোষণাটা উনি দেন, ‘অর্থাৎ আই, মেজর জিয়াউর রাহমান, প্রেসিডেন্ট অফ বাংলাদেশ…’ সেটা দ্রুত কারেক্ট না করলে ভয়ংকর ব্যাপার হতো। পাকিস্তান তখন বলত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে আর্মি বিদ্রোহ হয়েছে, আর আমরা সেই বিদ্রোহ দমনে আর্মি পাঠিয়েছি। তখন পুরো ব্যাপারটা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার হয়ে যেত। জাতিসংঘ কিংবা অন্য কোনো সংস্থার তখন ইন্টারফেয়ারের সুযোগ কমে যেত। ব্যাপারটা সম্ভবত তাকে বোঝানো হয়। এরপরে তো ২৭ তারিখের ঘোষণা আসল, ‘অন বিহাফ অফ’ দিয়ে।
প্রশ্ন: বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন?
উত্তর: উনি সারাজীবন প্যাসিভ একটা লাইভ লিড করে গেলেন। তিনি খুব যে একটা সোভিয়েত ভক্ত ছিলেন, তা কিন্তু না। পরিস্থিতির কারণে তিনি বাধ্য হলেন ওদিকে ঘেঁষতে। বাকশালও দিতে হলো বাধ্য হয়ে। ফলে তিনি নিজে যা করতে চেয়েছিলেন, তার একেবারে উল্টোদিকে গিয়ে অনেক কাজই তিনি করতে বাধ্য হন।
আমাদের অর্থনীতি এবং আমাদের সময় ডটকমকে সময় দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
লেখক : কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, আমাদের অর্থনীতি