সাংহাইয়ে নরেন্দ্র মোদিকে শি জিনপিং ‘আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য দূর করেই কাজ করতে হবে’
ইমরুল শাহেদ : চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দু’দেশের মতপার্থক্য সঠিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে কাজ করা যেতে পারে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। এই বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দু’দেশকে যোগাযোগ আরও ঘনিষ্ঠ করতে হবে এবং শলা-পরামর্শের পরিধিও বাড়াতে হবে। স্পর্শকাতর বিষয়গুলোতে মতপার্থক্য নিয়ন্ত্রণ করে এগুতে হবে। প্রেসিডেন্ট শি ভারতকে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গেনাইজেশন (এসসিও)-র নিরাপত্তা ব্লকের নতুন সদস্য হিসেবে অভিনন্দন জানান। এই ব্লকটির যৌথ নেতৃত্বে রয়েছে চীন ও রাশিয়া।
চীন ও ভারতের দুই নেতা কাজাকাস্তানের আস্তানায় এসসিও সম্মেলনের পার্শ¦ আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলেন। বলা যায়, কূটনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যেই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে মুখোমুখি বসেন নরেন্দ্র মোদি। এই দুই নেতার বৈঠককে সামনে রেখে কলকাতার আনন্দবাজার লিখেছে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা রহস্য করে বলছেন, এই প্রথম ড্রাগনের ডেরায় পা রাখছে ভারত! এই মন্তব্যের কারণ, চীনের নেতৃত্বে তৈরি হওয়া বহুপাক্ষিক (এখনও পর্যন্ত ৬টি দেশের) গোষ্ঠীতে এই প্রথম সদস্যপদ পেতে চলেছে ভারত। তবে শুধু ভারত একাই নয়, সদস্য হতে চলেছে পাকিস্তানও। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বক্তব্য, ‘আমাদের দোরগোড়ায় বাণিজ্য এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত এই শক্তিশালী গোষ্ঠী এতোদিন কাজ করেছে। আমরা তাদের সঙ্গে যুক্ত হতে পারলে এই দুটি ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে লাভবান হব।’ কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠীতে ভারতের সদস্যপদ থেকে শুরু করে পাকিস্তানের সঙ্গে কাশ্মীরের উপর দিয়ে অর্থনৈতিক করিডর বিভিন্ন ক্ষেত্রেই চীনের সঙ্গে সম্পর্কে সংঘাত বাড়ছে ভারতের। শুক্রবার যখন শি’র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক পার্শ্ববৈঠকে বসবেন মোদি তখন তালিকায় যুক্ত হচ্ছে আরো একটি মারাত্মক অভিযোগ। সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে পেশ করা সে দেশের প্রতিরক্ষা দফতরের একটি বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে বলা হয়েছে সামরিক ঘাঁটি বানানোর জন্য পাকিস্তানের কয়েকটি জায়গা বেছেছে বেইজিং। সে সব জায়গায় সামরিক ঘাঁটি বানানোর পাশাপাশি এশিয়ায় তার দীর্ঘদিনের বন্ধু দেশগুলোতেও নিজের বাহুবল বাড়ানোর জোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বেইজিংয়ের। কিন্তু বেইজিং এ মার্কিন কংগ্রেসে পেশ হওয়া অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। সূত্র : এনডিটিভি, আনন্দবাজার