তরিকুল ইসলাম সুমন : নৌ-প্রটোকল রুট সিরাজগঞ্জ-দইখাওয়া, যা যমুনা নদীর প্রায় ২শ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে। এ নৌরুট ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের নদীগুলো দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে মালামাল পরিবহন সহজ হবে। এ কারণে এ নৌরুট ড্রেজিং পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্প ব্যয়ের ৮০ ভাগ যোগান দেবে ভারত। বাকি টাকা দেবে বাংলাদেশ সরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যমুনা ও কুশিয়ারা নদী দিয়ে আশুগঞ্জ ও করিমগঞ্জ নৌপথে ভারত থেকে মালামাল পরিবহন করে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তর-পূর্ব ভারতে। এ নদীতে নাব্যতার কারণে যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় ও নিরবচ্ছিন্ন থাকে সে কারণেই এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের কুশিয়ারা নদী ভারতে বরাক হিসেবে পরিচিত। আবার কোলকাতা থেকে বাংলাদেশের এ নৌপথ হয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে মালামাল নেওয়ার ক্ষেত্রে এ ধরনের নদী খনন বা ড্রেজিং সাহায্য করবে।
এ প্রকল্প বাস্তবায়নের দ্রুত সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করা হবে। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের কোম্পানি অংশ নিতে পারবে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর কাছে দরপত্র ডকুমেন্ট পাঠিয়েছে ভারত। এ ডকুমেন্ট পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। তবে যারা এ কাজটি পাবে তাদের আগামী ৭ বছর এ রুটের মূল খননসহ ম্যান্টেনেন্স ড্রেজিংও করতে হবে।
ভারতীয় মালামাল পরিবহনে সিরাজগঞ্জ-দইখাওয়া নৌরুট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ নৌরুটে নাব্যতা বজায় থাকলে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ সংলগ্ন আসাম থেকে বাংলাদেশ হয়ে উত্তর প্রদেশের বারানসি মালামাল পাঠাতে ৪ হাজার কিলোমিটার নৌপথ কার্যকর হয়ে উঠবে। বাংলাদেশের অংশে নদীপথে নাব্যতা বজায় রাখা সম্ভব হলে সারাবছর দেড় থেকে ২ হাজার টন মালামাল পরিবহন করে এমন জাহাজ অবাধে যাতায়াত করতে পারবে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ