সংসদে জাপা এমপি শওকতের প্রশ্ন ভরা মৌসুমেও চালের দাম দ্বিগুণ কেন
হাসান আরিফ : সংসদ সদস্য শওকত চৌধুরী ভরা মৌসুমেও চালের দাম দ্বিগুণ হওয়ায় চালের মজুদ নিয়ে প্রশ্ন তোলে কৃষিমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, এই ভরা মৌসুমে চালের দাম ডবল হল কেন? এটা একটু খতিয়ে দেখা দরকার। আপনারা বলছেন মজুদ আছে, কি রকম মজুদ আছে? মজুদই যদি থাকে তাহলে চালের দাম ডবল হবে কেন? আমার মনে হয়, মজুদও নাই, কিছু নাই, সব ফাঁকাবুলি।’
গতকাল দুপুরে জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে নীলফামারী-৪ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শওকত চৌধুরী এসব কথা বলেন।
এসময় চালের দামসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলোর দামের বিষয়ে সরকারকে লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিতে হবে। চাল এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর চেষ্টা করুন, ফাঁকাবুলি মারবেন না। বহুত ফাঁকাবুলি মারছেন। ক্ষমতা বড়ই পিচ্ছিল জিনিস। এটা পিছলাতে সময় লাগে না। এজন্য একটু ভালভাবে চিন্তা ভাবনা করা দরকার।’ তিনি বলেন, ঢাকা শহরে ঘুরে, ব্যবসা-বাণিজ্য করে, দেখি আমরা। ঢাকা শহরের ৯০ ভাগ লোক সরকারের বিরুদ্ধে চলে গেছে। এটা কেউ চিন্তা করছে না। ব্যাংকের টাকা কাটা থেকে শুরু করে বিভিন্ন কারণে ৯০ ভাগ লোক সরকারের বিপক্ষে। কিন্তু মুখ ফুটে কেউ বলে না। আগামী নির্বাচনে ঢাকায় ১টা সিট পাবেন কি না সন্দেহ আছে।
প্রস্তাবিত বাজেটের টাকা সুষম বণ্টন হয়নি বলেও অভিযোগ করেন শওকত চৌধুরী বলেন, বাজেটের টাকা সারাদেশে সুষম বন্টন হওয়ার কথা। কিন্তু কোথায় সুষম বন্টন? রংপুর বিভাগে বাজেট নাই। কোনো মেগা প্রজেক্ট নাই। কী কারণে? রংপুর বিভাগে এত চাল হয় এত কিছু হয়, আমরা কিন্তু এখন মফিজ নাই। রংপুর বিভাগ দিন দিন উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে।
একটু আগে এখানে ত্রাণমন্ত্রী মহোদয় ছিলেন। আমি বহুদিন যাবৎ চেঁচাচ্ছি, এ জাতীয় সংসদে। সৈয়দপুরে স্মৃতিসৌধের অর্ধেক কাজ করেছি। বধ্যভূমির ৯০ ভাগ কাজ করেছি। উনি কথা দিয়েছিলেন এই পবিত্র সংসদে। উনাকে পাওয়াও যায় না, প্রজেক্টে বরাদ্দও পাই না। এইসব কি? যেটা বলব সেটা করব কিন্তু এই তামাশা কেন। জাতির সঙ্গে, মানুষের সঙ্গে, দেশের সঙ্গে তামাশা কিসের? জাতীয় সংসদ কী তামাশার জায়গা? এখানে বললাম আর সচিবালয়ে গিয়ে ভুলে গেলাম?’
এসময় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এমপিরা কি অবস্থায় পড়ি? জনগণ মনে করে আমাদেরকে মন্ত্রী টাকা দিছে আমরা মেরে খাইছি। কিন্তু আমরা সেই টাকা পাই না। কাজ করতে পারি না। উনারা বলে, দেয় না। এটা কোন কথা? আমাদেরকে বিইজ্জত করার কোনো অধিকার কি তাদের আছে? আমরা বিইজ্জত হয়ে যাই জনগণের কাছে। এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয় সে জন্য অনুরোধ জানান সংসদে বিরোধী দলের এ সাংসদ। সম্পাদনা : ইয়াছির আরাফাত