তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলা ভৌগলিক কারণে দেশের এক গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এখানে গড়ে উঠেছে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান (কেপিআই), আন্তজার্তিক নদীবন্দর এছাড়া সরকারি, বেসরকারি নানা মুখী উৎপাদনের ছোট -বড় বেশ কয়েকটি কোম্পানি।এসব প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হাজার হাজার লোক কাজ করছে।
কিন্তু উপজেলা প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেরীতে হলেও এলাকাবাসির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নির্মিত হয়েছে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু ভবন নির্মিত হয়েছে ঠিকই এতে চালু হয়নি পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্য সেবা।
খোজঁ নিয়ে জানা গেছে, ২ লক্ষাধিক জনগোষ্ঠি বসবাসকারী ভৌগলিক গুরুত্বপূর্ণ জনপদ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা ২০০০সালে পূর্ণাঙ্গ উপজলার স্বীকৃতি লাভ করে। এরপর র্দীঘদিন উপজেলা পরিষদের ছোট্ট দুটি কক্ষে চেয়ার টেবিল ফেলে শুধু মাত্র বহি.বিভাগের চিকিৎসা সেবা চালু করা হয়। স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত থাকায় স্থানীয় এলাকাবাসীকে অন্তত ৩০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অথবা ঢাকায় গিয়ে উন্নত চিকিৎসা সেবা নিতে হত। চরম দূর্ভোগের শিকার হতে হতো তাদের। তাই উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ২০১৪ সালে প্রায় সাড়ে ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫ একর জমির উপর হাসপাতালটি নির্মান করা হয়েছে । গত বছরের নভেম্বর মাসের শেষ দিকে হাসপাতালটি স্বাস্থ্য অধিপ্তরের নিকট হস্তান্তর করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন ডা. নিশিত চন্দ্র বিশ্বাস জানান, এখানে বড় সমস্যা হচ্ছে নার্সের বরাদ্দ এখনো পাইনি শুধু একজন নার্স রয়েছে আর যন্ত্রপাতিসহ অন্যান্য বিষয়ের চাহিদা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কিছু আসবাবপত্র বরাদ্ধ হয়ে গেছে। খুবদ্রুত তা পাওয়া যাবে। তবে দ্রুত হাসপাতালটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের জন্য প্রয়োজনী ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। আর হাসপাতালটি উদ্বোধন হলেই ধীরে ধীরে প্রয়োজনীয় সকল যন্ত্রপাতি পাওয়া যাবে। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান