নুরুল আজিজ চৌধুরী, নারায়নগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে আনন্দবাজার এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গ্রামবাসী ও বালু সন্ত্রাসীদের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলা দফায় দফায় সংঘর্ষ ও বাড়ী-ঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে টেঁটাবিদ্ধসহ উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশংকাজনক। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই ইউপি সদস্যসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের মেঘনা নদীর নুনেরটেক গ্রাম ঘেঁষে কৃষকদের ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে জোরপূর্বক বালু উত্তোলন শুরু করে বৈদ্যেবোজার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নবীর হোসেন ও আয়ুব আলী মেম্বার। তাদের নেতৃত্বে ১৫-১৬টি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করেন। খবর পেয়ে এলাকাবাসীরা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বালু উত্তোলনকারী ড্রেজারগুলোকে ধাওয়া দেয়। এলাকাবাসীর ধাওয়ার মুখে বালু উত্তোলনকারীরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বালু উত্তোলনকারীরা বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য হোসেন মেম্বারের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ আনে বালু সন্ত্রাসীরা। এ নিয়ে গতকাল দুপুরে হোসেন মেম্বারের লোকজনের সাথে নবীর হোসেনের লোকজনের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে বালু সন্ত্রাসী নবী হোসেন, আমীর আলী ওরফে কাইল্লা আমীর, জিন্না মিয়া, মাজহারুল ইসলামসহ ২০-৩০ জনের একদল সন্ত্রাসী রামদা, চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি, টেঁটা বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়ে শামীম মিয়া, রনি মিয়া, বাবুল মিয়া, সিরাজ মিয়া, আলী আকবর, কোহিনুর আক্তার, আরিফা বেগম ও দিপা আক্তারসহ কমপক্ষে ১০ জনকে টেঁটাবিদ্ধসহ মারাত্মকভাবে আহত করে। পরে এলাকাবাসীরা একত্রিত হয়ে হামলা চালিয়ে বালুসন্ত্রাসী শফিকুল ইসলাম, মাছুম মিয়া ও শাহজানসহ কমপক্ষে ৫ জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫জন আহত হয়েছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান