কলিট তালুকদার, পাবনা : পাবনার আটঘরিয়ায় অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ তুলে কথিত শালিস বৈঠক বসিয়ে জনৈক এক নারীর চুল কেটে দেওয়া ও জুতাপেটা করা হয়েছে। বর্বর র্নিযাতনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গেস্খফতারকৃত হলো- আটঘরিয়া উপজেলার কদমডাঙ্গা গ্রামের মৃত রবেশ খাঁর ছেলে মুকুল হোসেন (৩২), আলা হোসেনের ছেলে সোবাহান আলী (৩৭) ও রফিক হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা (৩২)। এর আগে সোমবার ভুক্তভোগী ওই নারী আটঘরিয়া থানায় ৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, গত ৭ জুন পার্শ্ববর্তী উপজেলা চাটমোহরের কাঁঠালবাড়িয়া গ্রাম থেকে ভুক্তভোগী ওই নারীর বাড়িতে বেড়াতে আসেন তার দুই মামাতো দেবর সেলিম হোসেন ও সাব্বির হোসেন। এ সময় তার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। রাতের খাবার পর ঘরের এক পাশে দুইজনকে শোবার ব্যবস্থা করে একই ঘরের অপর পাশে ৭ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে ঘুমাতে যান ওই নারী।পরে রাত সোয়া ১২টার দিকে একই এলাকার গ্রাম্য মাতুব্বর আলহাজ্ব নজিম প্রামানিক, মাসুদ রানা ও সোবাহানের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন যুবক লাঠিশোঠা হাতে ওই বাড়িতে গিয়ে ডাকাডাকি করেন। ওই নারী দরজা খুলে দিলে আগতরা দেহ ব্যবসার মিথ্যে অভিযোগ তুলে ওই নারীসহ তার দুই দেবরকে দড়ি দিয়ে বেঁধে জুতাপেটা করে। এসময় ভুক্তভোগী নারী তাদের বারবার বোঝানোর চেষ্টা করলেও মন গলেনি ওইসব গ্রাম্য মাতবরদের। পরে ভোররাতে কথিত শালিস বৈঠক বসিয়ে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ তুলে চুল কেটে দেয়া হয় ওই নারীর। পরে তাকে বাড়ি থেকেও বের করে দেয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। খবর পেয়ে পরে ওই নারীর স্বামী বাড়ি ফিরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আটঘরিয়া হাসপাতালে ও পরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আটঘরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর ভুক্তভোগী ওই নারী ১২ জুন সোমবার আটঘরিয়া থানায় ৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে তিন আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্য আসামিদের গ্রেফতাওে পুলিশের অভিযান চলছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান