অচিন্ত্য মজুমদার, ভোলা : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীর পানি। গত দুই দিন ধরে নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় এবং ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে অবিরাম বর্ষায় জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। জোয়ার এলেই পানি ঢুকে মনপুরা, দৌলতখান, বোরহানউদ্দিন, তজুমদ্দিন ও চরফ্যাশন উপজেলার নিম্মাঞ্চল এবং চরাঞ্চলের অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। তলিয়ে যায় ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটের পন্টুন। ফলে এসব এলাকার মানুষ কাজ করছে জেয়ার ভাটার উপর নির্ভর করে।
সরেজমিনে গতকাল মঙ্গলবার জেলার বিভিন্ন উপজেলা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পানি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় ও অবিরাম বৃষ্টিতে দৌলতখান উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধ ধ্বসে গেছে। ঘূর্ণিঝড় মোড়ার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় জোয়ার এলেই বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এ বিষয়ে দৌলতখান উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম খাঁন বলেন, অস্বাভাবিক পানির কারনে বেড়িবাঁধের ১৬ শতাংশের মধ্যে ১৪ শতাংশই ধ্বসে গেছে। এতে মানুষ আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে। চরম হুমকির মধ্যে রয়েছে পাউবোর এ বেড়িবাঁধটি। যে কোন সময় সম্পূর্ণ বাঁধটি ভেঙে গিয়ে বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। জোয়ারের পানিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
তবে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহি প্রকৌশলী বাবুল আখতার জানান, বেড়িবাঁধ ভেঙে গেলেও সেখানে পানি ঢুকেনি। আর ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সংস্কারের কাজ চলছে বলেও জানান তিনি। অপরদিকে তজুমুদ্দিন উপজেলার চৌমুহনী পয়েন্টে ৩শ মিটার বাঁধ ভেঙে সাত গ্রামের বসত বাড়ী এবং বিস্তীর্ণ মাঠের ফসল তলিয়ে গেছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান