ফরিদুল মোস্তফা খান, কক্সবাজার : কক্সবাজার শহরের আলির জাহাল সাইফুল কমিউনিটি সেন্টার সন্নিকট টমটম গেরেজের পশ্চিম পাশে বিশাল একটি পাহাড় । সেটি কেটে অবৈধ টিনসেড সেমিপাকা বাড়ি নির্মাণ করেছেন রামু জোয়ারিয়া নালার এক ব্যক্তি । শুধু বসতবাড়ি নয় , তিনি একজনেই সেখানে পাহাড় কেটে সরকারি জমি অবৈধ দখলে নিয়ে ঘর ভাড়া দিয়েছেন কয়েকটি। রাস্তার পাশে আম গাছের তলায় টিনসেড এই অবৈধ স্থাপনার আড়ালে প্রকাশ্যে কাটা হচ্ছে আর ও পাহাড় ।
প্রশাসনের নাকের ডগায় শুধু এখানেয় নয় , কলাতলী সহ জেলার আনাছে কানাছে চলছে পাহাড় কেটে বসতি নির্মানের ধুম। এ অবস্থায় নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও কিছুতেই পাহাড় কাটা বন্ধ করা যাচ্ছে না। দিনরাত সমানে চলছে পাহাড কেটে ঘরবাডি তৈরির কাজ। পরিবেশ অধিদপ্তর মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে কিছু ঘরবাডি উচ্ছেদ করলেও তা পুনরায় তৈরি হচ্ছে।
পরিবেশবাদী সংগঠনের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে শহরের ১১টির বেশি সরকারি পাহাড দখল করে তৈরি করা হয়েছে ১৫ হাজারের বেশি অবৈধ স্থাপনা। এসব স্থাপনায় বসবাস করছেন এক লাখের বেশি মানুষ। সম্প্রতি কলাতলী পাহাড ঘুরে দেখা গেছে, সরকারি এই উঁচু পাহাড কেটে ইতিমধ্যে তৈরি করা হয়েছে ৩০টির বেশি অস্থায়ী টিনের ঘর। সেখানে বসবাস করছেন ভাসমান লোকজন।
একটি ঘরের বাসিন্দা ছৈয়দ আলম (৪৪) জানান, এক মাস আগে পাহাডের এক খন্ড জমিতে তিনি টিনের ঘরটি তৈরি করেন। পাশের আরও দুটি টিনের ঘর শহরের একজন প্রভাবশালী তৈরি করে পাহারাদার হিসেবে দুটি পরিবারকে থাকতে দিয়েছেন।
এই পাহাডের পাশে আদর্শগ্রাম, টিঅ্যান্ডটি টাওয়ার, লাইট হাউস, সার্কিট হাউস, পাহাডতলী, লারপাডা, এবিসি ঘোনাসহ শহরের আরও অন্তত ১০টি পাহাড় কেটে ঘরবাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, প্রভাবশালীরা মিয়ানমারের অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে পাহাড় কাটা চালাচ্ছেন। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান