বিজয়ী দলটির নাম হোক প্রিয় বাংলাদেশ
ফেরদৌস আহমেদ
বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো আইসিসির বড় কোনো টুর্নামেন্টে সেমিফাইনাল খেলছে, এটি সত্যি আনন্দের ও অত্যন্ত গর্বের বিষয়। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ অনেক ভালো পারফরমেন্স দেখিয়েছে। আমি মনে করি, এই পারফরমেন্স ধরে রাখতে পারলে বাংলাদেশ ফাইনাল খেলবে। টাইগাররা যদি ফাইনালে উঠেই যায় তাহলে আমরা আশা করতেই পারি, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। এমনটি হলে আমাদের ক্রিকেটের জন্য তা হবে অনেক বড় এক ঘটনা। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ যে পারফরমেন্স দেখাল তা সত্যিই অসাধারণ। টিম ওয়ার্ক এবং টিম ম্যানেজমেন্টের মধ্যে সমন্বয়টিও হচ্ছে দারুণ। আমি মনেপ্রাণে চাইব, বাংলাদেশ জিতুক। বিজয়ী দলটির নাম হোক প্রিয় বাংলাদেশ। আমি মনে করি, আমাদের জয়ের সম্ভাবনা অনেক বেশি। জয় আমাদের হবেই। ভারতের সঙ্গে আমাদের সেমিফাইনালটি আমি অবশ্যই দেখব।
ভারত যদিও বিশ্ব ক্রিকেটের শক্তিশালী একটি দল। কঠিন প্রতিপক্ষ। তবে আমরাও আত্মবিশ্বাসী। আমরাও ভালো ক্রিকেট খেলি। শক্ত প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছি। বিশ্বের যেকোনো শক্তিশালী দলকে হারানোর সামর্থ্য আমাদের রয়েছে। আমার বিশ্বাস, আমাদের দল যদি মাথা ঠা-া করে খেলতে পারে তাহলে সফলতা আসতে বাধ্য। সফল আমরা হবোই। সাকিব-মাহমুদউল্লাহ কিংবা তামিম-সৌম্যরা যদি নিজেদের সেরা ব্যাটিংটা করতে পারে, মুস্তাফিজ-তাসকিন যদি তাদের বোলিং জাদু দেখাতে সমর্থ হয় তাহলে আমাদের বিজয় আবশ্যম্ভাবী। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে আমরা যেভাবে জয়লাভ করেছি তার ফলে খেলোয়াড়দের মনে আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গেছে। যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হলে দর্শকের মধ্যে বাড়তি উত্তেজনা তৈরি হতো। সময় পাল্টেছে। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যেকার ম্যাচেও এখন দুই দেশের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে চলে কথার লড়াই। দুদলের দর্শকদের মাঝে বাড়তি উত্তেজনা খেলাকে প্রাণবন্ত ও রোমাঞ্চিত করে তোলে। এটা শুধুমাত্র দর্শকের মাঝেই উত্তেজনা তৈরি করে না, দুদেশের ক্রিকেট বিশ্লেষকদের মাঝে চলে কথার বাগযুদ্ধ। এ রকম কথার লড়াই বা উত্তেজনা খেলার মাঠে দর্শকদের ভিন্ন মাত্রা এনে দেয়। আমার মনে হয়, ক্রিকেট বিশ্ব তাকিয়ে আছে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের দিকে। মাশরাফি-সাকিবদের জন্য অনেক শুভকামনা।
পরিচিতি: চলচ্চিত্র অভিনেতা
মতামত গ্রহণ: বায়েজিদ হোসাইন/সম্পাদনা: আশিক রহমান