জয়নুল আবেদীন, আমতলী (বরগুনা) : ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর ঘুর্ণিঝড় সিডরে বরগুনার আমতলী উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের ঘটখালী গ্রামের এনসান আলীর ছেলে সোহেল (২৭) নিখোঁজ হয়। রবিবার সকালে সোহেল তার মা হাজেরা খাতুনের কোলে ফিরে এসেছে।
জানাগেছে, ঘুর্ণিঝড় সিডরের একদিন পুর্বে ঘটখালী গ্রামের ১২ জন দিন মজুর ধানচী লতা গাছ কাটতে ট্রলার নিয়ে বঙ্গোপসাগর ও পায়রা নদীর মোহনায় চর লতায় অবস্থান নেয়। সিডরের রাতে ট্রলার উল্টে সাগর বক্ষে নিমজ্জিত হয়। এরপরে ১২ জন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঝড়ের ৪দিন পরে ২ জন ফিরে আসলেও দিন মজুর খলিল, ছোবাহান, ইউসুব, জব্বার, হোসেন, মনিরুল, দেলোয়ার, আলতাফ, সোহেল, রত্তন নিখোজের তালিকায় অন্তরভুক্ত হয়। পরিবারের স্বজনরা ধরে নিয়েছে এদের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে আরপাঙ্গাশিয়া বাজারে ওই গ্রামের জেসমিন সোহেলকে দেখে চিনতে পারে। জেসমিন ঘটখালী গ্রামে খবর দিলে আলম বিশ্বাস সহ প্রতিবেশীরা রোববার সকালে গিয়ে সোহেলকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসলে তার মা হাজেরা খাতুন ছেলে সোহেলকে দেখে তার ডান চোখের নীচে একটি তিল( তিলক) ও ডান পায়ের কাটা চিহ্ন দেখে সনাক্ত করেন সোহেল তার সন্তান। সিডরের সাড়ে ৯ বছর পরে সন্তানকে ফিরে পেয়ে মা কান্নায় ভেঙে পড়ে। সকাল থেকে সোহেলকে দেখতে শত শত মানুষ তাদের বাড়ীতে ছুটে আসে। সোহেল বাকরুদ্ধ। শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকে। তার সহপাঠিদের দেখে দু’ নয়নের অশ্রু ছেড়ে দেয়।
ওই এলাকার আলমগীর কবির জানান, সোহেলের চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চাওড়া ইউপি চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাদল খাঁন জানান সোহেলের চিকিৎসা সহ পুর্নবাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে আরপাঙ্গাশিয়া বাজারে লোকজনদের কাছ থেকে জানাগেছে শনিবার রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে একটি ট্রাক থেকে ৫/৬ জন লোককে নামিয়ে ট্রাকটি দ্রুত চলে যায়। ওই লোকদের মধ্যে সোহেল ছিল। সম্পাদনা: মুরাদ হাসান