ফরিদুল মোস্তফা খান ও সাইফুল ইসলাম : অচল হয়ে পড়েছে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকা । চারদিকে জোয়ার-ভাটায় সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে আছে। একইসঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের দুর্ভোগের মাত্রা আরো বেড়েছে। প্রশাসনের লোকজনও সহজে পৌঁছতে পারছেন না ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায়।
ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে তেমন ক্ষতি না হলেও লঘুচাপের কারণে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস ও ধমকা হাওয়ার কারণে কক্সবাজার উপকূল প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে উপকূলীয় এলাকার সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় সহজে তেমন সহযোগিতা পাচ্ছেন না ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন। নৌ-পথে ছাড়া সড়কযোগে যাতায়তের কোনো সুযোগ নেই। কুতুবদিয়া উপজেলার শফিউল আলম কুতুবী জানিয়েছেন, প্রধান সড়ক ছাড়া আর সকল রাস্তা এখন অচল। এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বেড়িবাঁধ না থাকায় জোয়ার ভাটা চলছে এবং অধিকাংশ ছোট রাস্তা এখন খালে পরিণত হয়েছে। খাদ্য সংগ্রহের জন্য বাজারে যাওয়ার সুযোগও নেই। পানিতে ডুবে থাকায় শিশুদের নিয়ে সমস্যায় আছি।
ধুরুং ইউনিয়নের সাইফুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, জরুরি ভিত্তিতে বরাদ্দ দেওয়ায় বেড়িবাঁধের কাজ অর্ধেক হলেও এ অবস্থা হত না। কাজ না করে ৮০ শতাংশ টাকা আত্মসাৎ করায় এ অবস্থা হয়েছে। সরকার টাকা বরাদ্দ দিলেও তা ঠিকমত ব্যয় না করায় কুতুবদিয়ার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ জানিয়েছেন, মাতারবাড়ির পশ্চিম ও পূর্বপাশের বেড়িবাঁধের অবস্থা এখন বেসামাল । সাধারণ মানুষ বেড়িবাঁধ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে। সাধারণ বেড়িবাঁধ বেধে আর কোন লাভ হবে না। এ ছাড়া মাতারবাড়ি সংযোগ সড়কটি প্রতি বছরই ভেঙ্গে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে সামান্য ক্ষতি হলেও গত দুইদিনের জোয়ারের পানিতে একেবারে বিলীন হয়ে গেছে। মাতারবাড়িতে যোগাযোগের জন্য এটি প্রধান সড়ক। যার ফলে মাতারবাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। মাতারবাড়ির অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোও জোয়ারের পানিতে ভেঙে গেছে। সম্প্রতি মাতারবাড়ির জন্য জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতে যে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা করা হয়েছে তা একেবারেই অপ্রতুল। তাই বেড়িবাঁধের কাজ নিশ্চিত করতে বরাদ্দ আরো অনেক বাড়ানো প্রয়োজন।সম্পাদনা : মুরাদ হাসান