শহিদুল ইসলাম, মাসুদ রানা : অতিবর্ষণে পাহাড় ধসে রাঙামাটি, বান্দরবান, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি এবং কক্সবাজারে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধু রাঙামাটিতেই ৪ সেনা সদস্যসহ ১০৩ জন ও বাকি ৪ জেলায় ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে মহিলা ও শিশু রয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে শুধু রাঙামাটিতেই নিহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়ে যাবে।
টানা বর্ষণে চট্টগ্রাম বিভাগের ৩ জেলায় ভয়াবহ বিপর্যয়ের পর ধসে পড়া পাহাড়ের মাটি সরিয়ে হতাহতদের উদ্ধারে দ্বিতীয় দিনের অভিযান শুরু করেছেন উদ্ধারকর্মীরা। দুদিনের টানা বর্ষণে রাঙামাটি, বান্দরবান ও চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে এবং গাছ চাপায় ১৪৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৪ জন সেনা সদস্যও রয়েছেন। গত সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত সময়ে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার ভোর থেকে গতকাল বুধবার বিকাল পর্যন্ত ১৪৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। গতকাল সকাল ১০টায় দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার কাজ চলছে। তবে ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকের মরদেহ রয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন নারী ও শিশুসহ রাঙামাটিতে ১০৩, বান্দরবানে ৬, কক্সবাজারে ২, খাগড়াছড়িতে ১ এবং চট্টগ্রামে ৩৪ জন। এছাড়া আরও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন।
রাঙামাটির পুলিশ ও ঢাকায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর জানিয়েছে, ১০৩ জন নিহতের মধ্যে সেনাবাহিনীর ৪ জন সদস্য রয়েছে। তারা মানিকছড়ি ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। অন্যদিকে নিহতদের মধ্যে সেনাবাহিনীর ২ জন অফিসার রয়েছেন। এখনো এক সেনা সদস্য নিখোঁজ আছে বলে তারা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে পাহাড় ধসে বান্দরবানে ৬ এবং চট্টগ্রামে মোট ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান চলছে। রাঙামাটির পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, গতকালও প্রবল বৃষ্টিপাত হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ বন্ধ হয়েছে। ফলে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পায়ে হেঁটে বিভিন্ন এলাকায় যেতে হচ্ছে। পরিস্থিতি সস্পর্কে পরিষ্কার চিত্র পেতে আরও সময় লাগবে।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার সঞ্চিত কুমার বলেন, প্রবল বর্ষণে ভূমি ধসের সাথে গাছপালা ভেঙে পড়েছে। জেলার অধিকাংশ জায়গায় কোনো বিদ্যুৎ নেই। উদ্ধার কাজের জন্য বিভিন্ন জায়গায় সেনাবাহিনীর সদস্যরাও যোগ দিয়েছেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রোববার এবং সোমবার টানা ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। ফলে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী অনেক বাড়ি মাটি চাপা পড়েছে। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ