যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রাষ্ট্রীয় প্রশাসন নিয়ে বিতর্ক যখন তুঙ্গে, ঠিক তখন গত বুধবার রাতে চল্লিশের অধিক খ্যাতনামা অভিনেত্রীদের উপস্থিতিতে লস অ্যাঞ্জেলসে আয়োজিত উইম্যান ইন ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অপ্রত্যাশিতভাবেই যোগ দেন দুই সাবেক ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটন ও মিশেল ওবামা। আর ওই বিতর্ককে ইঙ্গিত করে সিবিএস টেলিভিশনের সাবেক সংবাদ উপস্থাপক ও প্রখ্যাত সাংবাদিক ড্যান রাদার বলেন ‘মনসুন অব আনসার্টেনিটি’, অর্থাৎ অনিশ্চয়তার মৌসুম।
কিন্তু সেটা অনিশ্চয়তার মৌসুম হোক বা না হোক, তাতে পূর্বাহ্নে ধারণকৃত ভিডিও বার্তায় সাবেক দুই ফার্স্ট লেডি ছাড়াও সিনেটর কামালা হ্যারিস দর্শকদের কাছে অ্যাওয়ার্ড জয়ীদের পরিচিতি তুলে ধরেন। কিন্তু হিলারির ক্ষেত্রেই দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি উল্লাস ও আনন্দ। তাতে হিলারি ‘ওয়ান্ডার ওমেন’ ছায়াছবির পরিচালিকা প্যাটি জেনকিন্সের প্রশংসায় বলেন, আমি ছবিটি এখনও দেখিনি, তবে দেখবো, কেননা তা প্যাটি জেনকিন্সের চমৎকারিত্বপূর্ণ পরিচালনায় নির্মিত, যেখানে একজন সাহসী ও বলিষ্ট নারী বিশ্বকে আন্তর্জাতিক মহাপ্রলয় থেকে সুরক্ষা করেছেন।
আর ‘দ্য নরমা জার্কি হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাওয়ার্ড’ জয়ী সাংবাদিক ড্যান রাদার বলেন, ‘এক অনিশ্চয়তার মৌসুমে আমেরিকার সৌজন্যতা, সহিষ্ণুতা ও উদারতা উইম্যান ইন ফিল্মের আয়োজকরা বয়ে চলেছেন। আমরা প্রায়শই অতিরঞ্জিত শিরোনাম ও বিভক্তির ভাষায় খবর পড়ি, এমনকী আমাদের অনেক জাতীয় নেতাই ভাঁড়ের মতো আচরণ করেন। পাশাপাশি এই তমশাচ্ছন্ন পৃথিবীতে সত্যোত্তর রাজনৈতিক নায়কের আবির্ভাব ঘটেছে, এমনকী তথাকথিত সত্যের অপলাপে বিজ্ঞান ও শিক্ষাকে ভুলুন্ঠিত করছি’। তাই তিনি বলেন, ‘উইম্যান ইন ফিল্মে যে সকল নারী আছেন, তারা প্রকৃতপক্ষেই আমাদের জাতির মূল্যবোধকে আঁকড়ে আছেন’।
ই-মেইল: নঁশযধৎর.ঃড়ৎড়হঃড়@মসধরষ.পড়স