ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ম্যারেজ এনকাউন্টার বাংলাদেশের ৬ষ্ঠ জাতীয় কনভেনসন অনুষ্ঠিত
এলড্রিক বিশ্বাস:নতুনভাবে শপথ নেয়ার মধ্য দিয়ে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ম্যারেজ এনকাউন্টার বাংলাদেশ এর ৬ষ্ঠ জাতীয় কনভেনসন মোহাম্মদপুরস্থ সিবিসিবি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। ১৬ জুন, ৯ টায় শোভাযাত্রা করে সকলে হলে প্রবেশ করে ও খ্রিস্টযাগে অংশ নেয়। প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিনাজপুর ধর্মপ্রদেশের বিশপ সোবাস্টিয়ান টুডু বলেন, ‘জীবনের ভিত্তি পরিবার। গোটা সমাজ পরিবারের উপর নেমে এসেছে। মন্ডলীর মধ্যে সৃষ্টিলগ্ন থেকে পরিবারের সূচনা। ঈশ্বর তাঁর সৃষ্টিতে পুরুষ ও মহিলা সৃষ্টি করেছেন’। মঞ্চে আসনগ্রহণ করেন ম্যারেজ এনকাউন্টারের আধ্যাতিœক উপদেষ্টা ফাদার ইগ্নাসিউস গমেজ, এসজে, এক্লেজিয়ার দম্পত্তি নিকোলাস গমেজ ও সিসিলিয়া গমেজ। অনুষ্ঠানসূচীর মধ্যে ছিল ‘বর্তমান এই বাস্তবতায় আমাদের খ্রিস্টান পরিবারগুলো কেমন আছে? ম্যারেজ এনকাউন্টার এই ক্ষেত্রে কি ভাবে ভূমিকা রাখতে পারে? বিষয়ে আলোচনায় অংশনেন ও মতামত তুলে ধরেন সুনীল পিউরীফিকেশন, গিলবার্ট গমেজ, খ্রিস্টোফার ক্রুশ, মিসেস সুষমা জাসিন্তা রোজারিও, জেরাল্ড গমেজ, পিটার রতন গমেজ, চিত্ত ফ্রান্সিস রিবেরু, যোসেফ কর্ণেল গমেজ, মিসেস প্রিস্কা পুষ্প কোড়াইয়া, বিজয় জেমস রোজারিও, প্রলয় দীপক ডি’রোজারিও, মিসেস সিসিলিয়া গমেজ। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন মার্কাস গমেজ ও ফ্লোরেন্স গমেজ। অনুষ্ঠানের মূলসুর ছিল ‘আমরা আনন্দ ও দয়ার প্রেরিতজন’।
অনুষ্ঠানের মধ্যে আরো ছিল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ম্যারেজ এনকাউন্টার বাংলাদেশ এর বর্তমান কমিটির পরিচিতি এবং দায়িত্ব ও কাজের অভিজ্ঞতা বিষয়ে বলা, কুইজ, ফটোসেশন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন। উল্লেখ্য ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে সিস্টার পলিন নাডু, সিএসসি (বর্তমানে কানাডা আছেন) ও ফাদার জের্ভাস রোজারিও (বর্তমানে রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের বিশপ) ও কিছু দম্পত্তি নিয়ে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ম্যারেজ এনকাউন্টার বাংলাদেশ যাত্রা শুরু করে। এ পর্যন্ত ৯০০ জোড়া দম্পত্তিকে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ম্যারেজ এনকাউন্টার বাংলাদেশ এর সাথে সম্পৃক্ত করেছেন। ৬ষ্ঠ কনভেনশনে ৩০ টি জোড়া দম্পত্তি অংশ নেয়।