প্রশান্ত কুন্ডু, বরিশাল : মাদকের বিরুদ্ধে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের জিরো টলারেন্সের মধ্যেও আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে বরিশালে যৌথ ব্যবসায় নেমেছে মাদক ব্যবসায়ী ও পুলিশের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা। কাউনিয়া থানা পুলিশের ছত্রছায়ায় মাদক ব্যবসায়ীরা নিরাপদ রুট হিসেবে নথুল্লাবাদ খালপাড় সড়ক দিয়ে নির্বিঘেœ মাদক প্রবেশ করছে নগরীর কাউনিয়াসহ সমগ্র নগরীতে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নগরীর চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও প্রতারক চক্রের সদস্যরা নথুল্লাবাদ খালপাড় সড়কে আনাগোনা বাড়িয়ে দিয়েছে। আর কাউনিয়া থানার কতিপয় সদস্যর সাথে তাদের সখ্যতা দেখে স্থানীয়রাও এ চক্রটিকে বাধা দিতে পারছেনা। সূত্রে জানা যায়, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কঠোর তৎপরতায় বরিশাল নগরীর চিহ্নিত মাদক স্পটগুলো বেশ কিছুদিন বন্ধ থাকলেও আসন্ন ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে আবারও সক্রিয় হচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের চোখ এড়াতে এবার কৌশল পরিবর্তন করেছে তারা। পরিচয় গোপন রেখে এক মাদক ব্যবসায়ীর সাথে আলাপকালে সে জানায়, প্রতি রাতে খালপাড় সড়ক দিয়ে লাখ লাখ টাকার ইয়াবা, ফেন্সিডিল ও গাঁজার চালান নগরীতে টুকছে। আর এগুলো দেখভাল করছে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীরা। তারা অবশ্য খুচরা মাদক বিক্রেতা।
ওই মাদক ব্যবসায়ী আরো জানায়, গভীর রাতে যশোর থেকে মাদকের চালান আসলে তা নগরীতে প্রবেশ করাতে হলে এ সড়কটিকে ব্যবহার করতে হয়। আর এ কারণেই তারা অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আতাত করে মাদকের চালান ঢুকাচ্ছে নগরীতে। এছাড়া মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সঙ্গে মলম পার্টি ও প্রতারক চক্রের চিহ্নিত সদস্যরাও প্রতারণার জন্য এ সড়কটিকে ব্যবহার করছে। দিনের বেলায়ও তাদের প্রতারণার শিকার হচ্ছে অনেকেই। এ ব্যাপারে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) এসএম জাহিদ বিন আলম জানান, মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে কোন ধরনের আপস নেই। তবে থানার কোনো পুলিশ সদস্য জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান