ইব্রাহিম শেখ খাগড়াছড়ি : বান্দরবানের বালাঘাটা এলাকার লেমুঝিরির পাহাড়ে গত দশ বছর ধরে বসবাস করছেন শ্রমিক নুরল আমিন। ছোটখাট পাহাড়ের মাটি ধসে পরার দৃশ্য তার কাছে নতুন কিছু নয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে পাহাড়ের এমন রদ্র রূপ আগে কখনো দেখেননি। বৃষ্টি হলেই আতঙ্ক ভর করে তার মাঝে। কখন যে মাথার ওপর পাহাড় ধসে পরে এই আশঙ্কায় দিন কাটে নুরল আমিনের। নুরল আমিনের মত এরকম কয়েক হাজার পরিবার আতঙ্ক উৎকণ্ঠা নিয়ে পাহাড়ে বসবাস করছেন। বান্দরবানে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে কয়েক হাজার পরিবার। সাম্প্রতিক পাহাড় ধসে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনার পর এ আতঙ্ক যেন আরো বেশি ভর করেছে। তবে যাওয়ার জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়েই মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে তাদের বসবাস করতে হ”েছ পাহাড়ে। প্রশাসনের প থেকেও তাদের সরিয়ে নেওয়ার কোনো উদ্যোগ নেই। বর্ষা মৌসুমে প্রাণহানির ঘটনা ঘটলেই টনক নড়ে প্রশাসনের। কিš‘ পরে এসব বিষয় নিয়ে কেউই মাথা ঘামায় না এমনটা অভিযোগ স্থানীয়দের। দেখা গেছে শুধুমাত্র বান্দরবান শহরের আশে পাশে পাঁচ হাজারেও বেশি পরিবার পাহাড় কেটে বা পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছে। এছাড়া জেলার লামা, আলীকদম, রমাসহ বিভিন্ন জায়গাতেও একই অবস্থা। প্রশাসনের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারীদের কোনো তালিকা নেই। ফলে দুর্যোগপূর্ণ মূহূর্তে তেমন কোনো উদ্যোগই নেওয়া সম্ভব হয় না। জেলা প্রশাসনের ত্রাণ শাখা সূত্রে জানা গেছে, গত পাঁচ বছরে বান্দরবানে পাহাড় ধসের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৫৭ জনের। এর মধ্যে ২০১২ সালে ৩৭ জন, ২০১৩ সালে ১ জন, ২০১৪ সালে ৪ জন, ২০১৫ সালে ৯ জন ও এ বছর ৬ জন।