স্বপন কুমার দেব, মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজার জেলার রাজ নগর, কুলাউড়া, জুড়ি,বড়লেখা উপজেলার সার্বিব বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে। জেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। রাস্তায় পানি উঠে উপজেলার সদরের সঙ্গে বিভিন্ন ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শনিবার রাত থেকে রোববার দুপুর পযন্ত টানা ভারি বর্ষণের ফলে জেলা সদর সহ বিভিন্ন উপজেলার নিচু ত্রলাকায় পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক মানুষ । কুলাউড়ার ভুকশিমইল, জয়চন্ডী, কাদিপুর, ব্রাহ্মণবাজার, ভাটেরা ও বরমচাল ইউনিয়নের বণ্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি ঘটেছে। মানুষের বাড়ি ঘরে পানি উঠেছে, ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে পুকুরের মাছ।
এদিকে এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওর তীরে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। সৃষ্ট বন্যা হাওর তীরের চারটি উপজেলার জনপদের রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। অকাল বন্যায় হাওর তীরের বোরো হারা মানুষ এবার ভয়াবহ বন্যায় বাড়িঘর ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যার পানি উঠায় হাওর তীরের মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভুকশিমমইল ইউনিয়নে ১৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে মদনগৌরী, কাইরচক, জাব্দা, গৌড়করণ, ভুকশিমইল, বাদে ভুকশিমইল, কানেহাত, চিলারকান্দি, কালেশার, উত্তর শশারকান্দি, মনসুরগঞ্জ, মুক্তাজিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যা কবলিত। কোন কোন বিদ্যালয়ে ২ ফুট থেকে ৩ফুট পানির নিচে। তাছাড়া হাওরের উত্তাল ঢেউয়ে বিদ্যালয় ভবনের মাটি সরে বিরাট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যেকোন সময় ভবনের দেয়াল ধ্বসে পড়তে পারে।
জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর ইউনিয়নের শাহপুর, ভাটি শাহপুর, বেলাগাঁও গ্রামের মানুষের চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এসব এলাকায় হাকালুকি হাওরের উত্তাল ঢেউয়ে মানুষের বাড়িঘর হুমকির মুখে রয়েছে। বড়লেখা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার লোক পানি বন্ধি হয়ে আছে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান