খোয়াই নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে
আশরাফ চৌধুরী রাজু, সিলেট : হবিগঞ্জের খোয়াই নদীর পানি সোমবার থেকে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শহর রক্ষা বাঁধের বেশিরভাগ অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে সোমবার রাতে হবিগঞ্জ শহর ও শহরতলী এলাকার ৩টি স্থানে বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা দেখা দিলে রাত থেকেই স্থানীয় লোকজন সেখানে বালির বস্তা দিয়ে বাঁধ রক্ষার কাজ অব্যাহত রেখেছেন। ইতোমধ্যে উমেদনগর, কামরাপুর, মাছুলিয়া, রামপুর এলাকায় বাঁধের কিছু অংশ উপচে পানি মানুষের বাড়ি-ঘরে প্রবেশ করেছে।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, হবিগঞ্জ শহরের প্রান্তে খোয়াই নদীর পানি বিপদসীমার ২৮০ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে পাহাড়ি ঢলে সোমবার সকাল থেকেই খোয়াই নদীর পানি বাড়তে থাকে। রাতে যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে যেতে পারে এমন আশঙ্কায় মাইকিং করে প্রশাসন। এরপর থেকে শহরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাবার ভয়ে নিদ্রাহীন রাত কাটান শহরবাসী। সজাগ থেকে বাঁধের ফাটা অংশ মেরামত ও নদীর পানির খবর নিতে দেখা যায় লোকজনকে।
রাতে শহর এলাকার কামড়াপুর ও শহরতলীর মাছুলিয়া, তেতৈইয়া এলাকায় বাঁধ পেরিয়ে পানি প্রবেশ করতে থাকলে সেখানে বালুর বস্তা ফেলা শুরু হয়। হবিগঞ্জ পৌরসভার দানিয়ালপুর এলাকায় নদীর বাঁধের অভ্যন্তরে বসবাসকারী প্রায় ১৫টি বাড়ি-ঘরে ইতোমধ্যেই বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। নদীর দুই পাড়ের বাসিন্দাদের অনেকেই বসতবাড়ি থেকে মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন। সোমবার রাতে প্রশাসন ভাটি এলাকার একাধিক স্থানে বাঁধ কাটতে গেলে স্থানীয় লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে বাধা দেন। পাউবো নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহিদুল ইসলাম জানান, বড় ধরনের ঝুঁকির আশংকা নেই। তবুও যেসব এলাকায় বাঁধ চুইয়ে পানি প্রবেশ করছে, সেসব এলাকায় বালির বস্তা ফেলে বাঁধ রক্ষার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, উজানে বৃষ্টি থেমেছে শুনেছি। আশা করছি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে খোয়াই নদীতে বন্যার পানি কমতে পারে। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান