প্রবীর মোহন্ত,বগুড়া : দীর্ঘ চার যুগ কেটে গেল,কিন্তু এখনও শেষ হয়নি ১৮ গ্রামের ৭০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ। স্কুল-কলেজ,চাকরিজীবী থেকে শুরু করে গ্রামের কৃষকরা তাদের পণ্য পর্যন্ত বাজারে তুলতে হিমশিম খাচ্ছে। ভোটের আগে এসে শুধু দেখা দিয়ে ওয়াদা দিয়েই শেষ। কিন্তু এখনও আগের অবস্থানেই। একদিকে বালুদস্যুদের তান্ডব অন্যদিকে নদীর ভাঙ্গন। সব মিলিয়ে ভাল নেই এ অঞ্চলের মানুষরা। সবশেষে ভাগ্যের দোষ দিয়েই তারা সবকিছু মানিয়ে নিয়েছে।স সরেজমিনে গেলে মান্নান,রুকুসহ একাধিকরা জানান, প্রতি বছর নদীর গ্রাসে চলে যাচ্ছে আবাদী জমি আর বসতভিটা। এরপরেও পুরো বছর জুরেই ড্রেজার বসিয়ে চলে বালুদস্যুদের তান্ডব। এখানেই শেষ নয়, কাঁচা রাস্তায় ট্রাক চলাচলের জন্য কেটে ফেলা হয়। বর্ষার সময় চলাচল করাই দায় হয়ে পড়ে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাহিরে যায়না। কারণ ৪কিলো কাঁচা রাস্তা পেরিয়ে খেয়া ঘাটে,সেখান থেকে যদি নৌকা থাকে তাহলে পারাপার না হলে আরও ৩ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। যদি একটি ব্রিজ থাকতো তাহলে দুর্ভোগ থাকতো না। তবে, একটি ব্রিজই বদলে দিতে পারে চার যুগের তিলক লাগানো তকমা ‘দুর্গম বাসিন্দা’। আক্ষেপ করে স্থানীয়রা জানায়, ডিজিটালের ছোঁয়ায় দেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল, কিন্তু আমরা এখনও পড়ে আছি সেই আগের যুগেই। পুরো বর্ষার সময় যখন নদী যৌবনা তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলে সকল বয়সী নারী-পুরুষ। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান