মো. ইব্রাহিম শেখ , খাগড়াছড়ি: রাঙ্গামাটি পাহাড় ধসের ঘটনায় ৮দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল দুপুর থেকে রাঙ্গামাটি চট্টগ্রাম সড়ক হালকা যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলের জন্য রাস্তা খুলে দেওয়ায় রাঙ্গামাটিতে যেন বইছে আনন্দের বন্যা। এই যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পাওয়া। রাঙ্গামাটির বাইরে এবং রাঙ্গামাটির ভিতরে যারা আটকা পড়েছে এবং ব্যবসায়ীরা এই নিয়ে মহা খুশী।
সেনাবাহিনীর চট্টগ্রাম এ্যারিয়া কমান্ডার ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার রাঙ্গামাটির সাপছড়ি শালবনে নতুন সংযোগকৃত সড়কের উপর যান চালিয়ে রাস্তার পার হয়ে হালকাযান চলাচলের জন্য উম্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এর পর পরই দুইপাড়ে আটকে থাকা শতশত যান এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে থাকে।এ সময় সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ এন সিদ্দিক, সড়ক ও জনপথ বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ইবনে আল মাসুদ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ রহুল আমিন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফারক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রেজাউউ মজিদ, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারল মান্নান, পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, সড়ক ও জনপথ রাঙ্গামাটির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. এমদাদ হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে এ্যারিয়া কমান্ডার সাংবাদিকদের বলেন, সেনাবাহিনী ও সড়ক বিভাগের সদস্যরা অতিদ্রত রাঙ্গামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া রাস্তা পুন.স্থাপন করে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তা সড়কের পুন.নির্মাণ কাজে আরো স্পৃহা যোগাবে। এদিকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন সিদ্দিক ও সড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান গতকাল দুপুরে রাঙ্গামাটি সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। সড়ক যোগাযোগ চালু করার পর তারা জানান, আগামী ১ মাসের মধ্যে এই সড়কে ভারী যান চলাচলের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সেনাবাহিনী ও সড়ক বিভাগ যৌথভাবে এই কাজ করবে বলে তিনি জানান।সম্পাদনা : মুরাদ হাসান