পরাগ মাঝি : ব্রেক্সিটকে হারানোর প্রস্তাব বলেছেন বিলিয়নিয়ার ব্যাসায়ী জর্জ সরস। আর এই হারানোটা আসলে ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন দু’পক্ষের জন্যই। ব্রেক্সিট কার্যকর হলে দু’পক্ষের কেউই লাভবান হবেনা। ফলে এ থেকে উল্টোদিকে মোড় নেয়াও অস্বাভাবিক কিছু হবেনা। সরস হলেন সেই ব্যাক্তি যিনি ১৯৯২ সালে পাউন্ডের বিরুদ্ধে লড়ে অলৌকিক ব্যবসায়ীর খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। সেসময় তিনি প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার আয়ও করেছিলেন। ব্রেক্সিট প্রসঙ্গে মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘ব্রিটেন একটি টানাপোড়েনের দিকে যাচ্ছে, ধীরে ধীরে তারা ব্রেক্সিট থেকে উল্টো দিকে যাত্রা করতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক বাস্তবতাই ব্রিটেনের মানুষকে ব্রেক্সিটের রায় দিতে অনুপ্রাণীত করেছিলো। কিন্তু আদতে যা সত্য, সেই মহুর্তটি এগিয়ে আসছে।’ সরসের মতে, ব্রেক্সিট হলো হারানোর প্রস্তাব। এটি ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয়ের জন্যই ক্ষতিকারক। তবে, তিনি এও বলেন যে, এটি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়, তবে মানুষ তাদের মন পরিবর্তন করতে পারে। ২০১৬ সালে সাতটি শীর্ষ সমৃদ্ধ দেশের মধ্যে ব্রিটেন ছিলো সবচেয়ে দ্রুত আর্থিক গতি সম্পন্ন। কিন্তু ব্রেক্সিট রায়ের পর এ বছরের শুরুর দিকে অর্থনৈতিক গতির ক্ষেত্রে ওই দেশগুলোর সবচেয়ে নিচে অবস্থান করছে ব্রিটেন। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি এবং মন্থর মুজুরি ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ও নীতিনির্ধারকদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে।
সরস বলেন, ‘পরিবারগুলি উপলব্ধি করবে যে, তাদের জীবনযাত্রার মান হ্রাস পাচ্ছে এবং তাদের খরচের অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। অবস্থা আরও খারাপ হবে, যখন তারা বুঝতে পারবে যে, তারা অধিক পরিমাণে ঋণগ্রস্থ এবং এই ঋণ তাদের শোধ করতে হবে।’
থেরেসা মে’কে উদ্দেশ্য করে সরস বলেন, ‘তিনি যদি ক্ষমতায় থাকতে চান, তবে তার পদ্মতি পরিবর্তন করতে হবে এবং বেশি বেতন পেতে চাওয়া তরুণদের গুরুত্ব দিতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের একক বাজারেও ব্রিটেনকে ধরে রাখতে হবে।’
সবশেষে তিনি বলেন, ‘ব্রিটেন আর ইইউ-এর মধ্যকার বিবাহ বিচ্ছেদ সম্পন্ন হতে পাঁচ বছরের মতো সময় লাগতে পারে। এর মধ্যে আরও একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এমনও হতে পারে, বিচ্ছেদ সম্পন্ন হওয়ার আগেই ব্রিটেন আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে আরও একটি বিয়ে।’ ডেইলি মেইল