হুমায়ুন আইয়ুব
লাইলাতুল কদর। সম্মানিত রাত। এ রাত সৃষ্টিকর্তার কাছে হাজার রাতের চেয়েও উত্তম। এক হাজার রাত ইবাদত করলে যে সওয়াব হতে পারে, এই এক রাতের ইবাদতে তার চেয়েও বেশি সওয়াব পাওয়া যায়।
আল্লাহ তাআলা এ রাত সম্পর্কে বলেন, (তরজমা) লাইলাতুল কদর এক হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এ রাতে ফেরেশতাগণ ও রূহ (জিব্রাইল আ.) তাদের পালনকর্তার আদেশক্রমে প্রত্যেক কল্যাণময় বস্তু নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেন। যে রাত পুরোটাই শান্তি, যা ফজর হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। সূরা কদর (৯৭) : ৩-৫
রাসুল সা. বলেন, যে ব্যক্তি ইমানের সাথে সওয়াব লাভের আশায় লাইলাতুল কদরের রাতকে ইবাদতের মাধ্যমে সারা রাত্র জাগরণ করে কাটাবে তার পূর্বকৃত গুনাহসমূহকে মাফ করে দেওয়া হবে’। (বুখারি ও মিশকাত শরিফ)
আল কুরআনে কদরের রাত্রিকে হাজার মাসের চেয়েও উত্তম বলা হয়েছে। হাজার মাস ৮৩ বৎসর ৪ মাস হয়ে থাকে। অর্থাৎ হাজার মাস ইবাদত-বন্দেগী করে যে সওয়াব অর্জন করা যায় সে সওয়াব শুধু এক কদরের রজনীতে ইবাদত-বন্দেগী করেই অর্জন করা যায়। এ জন্য যতটুকু পারা যায় ততটুকু ইবাদত করে কদরের রজনীকে কাটানো আমাদের জন্য জরুরি। বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবু হোরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সা. ইরশাদ করেন, ‘যদি তোমরা কবরকে আলোকময় পেতে চাও তাহলে লাইলাতুল কদরে জাগ্রত থেকে ইবাদত কর’। মিশকাত ও বাইহাকি শরিফ। রাসুল সা. ইরশাদ করেন, ‘তোমরা লাইলাতুল কদরকে মাহে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতসমূহে তালাশ কর। বুখারি শরিফ। হজরত উমর রা. থেকে বর্ণিত রাসুল সা. বলেন, ‘রমজানের ২৭ তারিখের রাতের ভোর পর্যন্ত ইবাদত-বন্দেগী আমার কাছে সারা রমজানের অন্য সব রাতের ইবাদত অপেক্ষা অধিক প্রিয়। তিরমিযি শরিফ। হজরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, একদা আমি রাসুল সা. কে জিজ্ঞাসা করলাম হে আল্লাহর রাসুল! আমি যদি কদরের রাত সম্পর্কে অবহিত হতে পারি তবে আমি কি করব? তখন রাসুল সা. আমাকে এই দু’আ পাঠ করার জন্য বললেন। দু’আটি হলো, ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি।
যড়সধঁহধুঁন@ুধযড়ড়.পড়স