কামরুল আহসান : ব্রিটেনে নতুন সংসদ গঠিত হচ্ছে। নিয়মানুসারে সংসদে বক্তব্য দিতে আসলেন ব্রিটিশ রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। বক্তব্যে অবিবার্যভাবেই জোর দিয়েছেন ব্রেক্সিট ইস্যুকে। এক্ষেত্রে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানালেন তিনি। ব্রেক্সিট সংক্রান্ত ৮টি বিল পাশ করেছেন। এ ছাড়া প্রস্তাব করেছেন ২৭টি খসড়া আইন। তার মধ্যে গ্রামার স্কুল সম্প্রসারণসহ সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপ নেয়ার আইন আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে জোর দিয়েছেন।
ভাষণে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র প্রতি বেশ চাপ প্রয়োগের ইঙ্গিত আছে। আগাম ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে সংসদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। এখন হাউস অব কমন্সে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিতের জন্য কনজারভেটিভদের উত্তর আয়ারল্যান্ডের রাজনৈতিক দল ডেমোক্রেটিস ইউনিয়ন্টি পার্টির সহযোগিতা নিতে হচ্ছে। ফলে সংসদে তারা অনেক দুর্বল হয়ে পড়ছে। হার্ড ব্রেক্সিট চালানোটা তাদের জন্য এখন কঠিন হয়ে যাবে।
সম্প্রতি লন্ডন ও ম্যানচেস্টারে সন্ত্রাসী হামলার জন্য সন্ত্রাসবিরোধী আইন নতুন করে পর্যালোচনার কথাও বললেন ব্রিটিশ রাণী। পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্র্মীদের তাৎক্ষণিক যে- কোনো উদ্যোগ নেয়ার ক্ষমতা দেয়ার কথা উল্লেখ করেছেন বিলে।
চলতি বছরের শেষদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্রিটেনে সফর করবেন। রীতি অনুযায়ী ব্রিটিশ সংসদে তার বক্তব্য দেয়ারও কথা। কিন্তু, ট্রাম্পের বর্ণবাদী আচরণের কারণে বিরোধী দল ও নাগরিক সমাজের এক অংশ তার ব্রিটেন সফরের বিরোধিতা করে আসছে। ব্রিটেন আসলেও তিনি যেন সংসদে গিয়ে বক্তব্য দিয়ে ব্রিটিশ সংসদকে কলঙ্কিত করতে না পারেন সে জন্য রাণীর নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য তার প্রতি আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু, রাণী এলিজাবেথ তার বক্তব্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোনো প্রসঙ্গ উল্লেখ করেননি।
তিনি বরং জোর দিয়েছেন নিজের দেশের সাম্প্রতিক অবস্থা নিয়ে। গত সপ্তাহে লন্ডনের গ্রিনফেল টাওয়ারে অগ্নিকা-ে ৭৯ জন মারা গেছে। রানী জোর দিয়ে বলেছেন, এই ঘটনা পুনরায় তদন্ত করার জন্য। বিবিসি, গার্ডিয়ান