দুর্ঘটনা এড়াতে রাঙামাটির সড়কে উড়ছে লাল পতাকা
নাফরুল হাসান : রাঙামাটির ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো মেরামতের পর হালকা যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। তবে শহরের সড়ক জুড়ে উড়ছে লাল পতাকা। গাড়ি চালকদের সতর্ক করতে এবং দুর্ঘটনা এড়াতে এ ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে সড়ক ও জনপথ এবং ট্রাফিক পুলিশ। বিপদজনক রাস্তাগুলোতে বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। তবে রাস্তার পুরোপুরি সংস্কার করতে কতদিন সময় লাগবে তা জানা নেই প্রশাসনেরও।
প্রায় অচল রাঙামাটি শহরের সড়কগুলো। ৮ দিন ধরে বন্ধ ভারী যান চলাচল। শহরের বেতার কেন্দ্র এলাকা, ভেদভেদি পুলিশ চেকপোস্ট, ডিসি বাংলো সড়ক, তবলছড়ি আনন্দ বিহার সড়কের বড় অংশ ধসে পড়েছে। এর মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে হাল্কা যান।
এ সম্পর্কে এক ট্রাক চালক বলেন, আমরা অনেক ঝুঁকির মধ্যে আছি। প্রায় সড়কের ৩৩টি পয়েন্ট নষ্ট হয়ে গেছে। তাই আমরা কোন কাজ করতে পারছি না।
দ্রুত সংস্কার না হলে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে জেলার ট্রাফিক বিভাগ। ট্রাফিক বিভাগ বলছে, রাস্তা সংস্কার না করা হলে যে কোন সময়ে আরো বড় বিপদ হতে পারে, তখন পরিস্থিতি সামাল দেয়া কঠিন হবে।
এ ব্যাপারে রাঙামাটির ওসি (ট্রাফিক) নীতি বিকাশ দত্ত বলেন, ‘অনেক রাস্তাই ধসে পড়েছে। যার কারনে রাস্তাগুলো সরু হয়ে গেছে। এসব রাস্তা দিয়ে কোন ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। তবে কিছু হাল্কা যান চলাচলের জন্য রাস্তা খুলে দেয়া হয়েছে। চালকদের সতর্ক এবং দুর্ঘটনা এড়াতে আমাদের পক্ষ থেকে রাস্তার ভাঙা জায়গায় লাল পতাকা ব্যবস্থা করেছি।’
সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, বরাদ্দের সংকটে এখনই কাজ করা যাচ্ছে না। এ সম্পর্কে রাঙামাটির উপ-সহকারি প্রকৌশলী আবু মুছা বলেন, ‘আমাদের একার পক্ষে সড়ক ব্যবস্থা ঠিক করা সম্ভব না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ফরমায়েশ ছাড়া কিছুই করা যাবে না। কারণ টাকা তো তাদের থেকেই আসবে।’
এদিকে রাঙামাটি থেকে খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান সড়কের সংস্কার কাজ এখনও শুরু হয়নি। তবে বর্তমানে কাজ চলছে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে। সূত্র: ইনডিপেনপেন্ট টিভি। সম্পাদনা : মাকসুদা লিপি