সন্তোষ সূত্রধর, আশুগঞ্জ (ব্রাহ্মণবাড়িয়া): ঈদ-উল-ফিতরের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। সবাই যখন ঈদের কেনাকাটা নিয়ে ব্যস্ত ঠিক সেই মুহূর্তে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদীর ‘চর’ চরসোনারামপুর গ্রামের মানুষগুলো চরের ভায়ন রোধে সংগ্রাম করছেন। মাটির বস্তা আর ইট ফেলে নিজেদের ভিটে-মাটি রক্ষার চেষ্টা করছেন চরের অবহেলিত মানুষগুলো। গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণের ফলে চরে ভাঙন শুরু হয়েছে। এ মুহূর্তে তাদের কাছে ঈদ আনন্দের চাইতে চরের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাটাই যেন মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আশুগঞ্জ উাপজেলার মেঘনা নদীরে বুকে জন্ম নেয় প্রায় শতবর্ষী চরসোনারামপুর গ্রামে কয়েক হাজার মানুষের বসবাস। আধুনিক সভ্যতার এ যুগেও চরসোনারামপুর গ্রামটি ঘোর অন্ধকারে রয়েছে। সন্ধ্যার পর বিদ্যুতহীন চরসোনামপুর গ্রামটি বিচ্ছিন্ন এক জনপদে রূপ নেয়। প্রতিবছরই একটু একটু করে মেঘনা নদীতে বিলীন হচ্ছে চরসোনারামপুর গ্রাম।
বুধবার দুপুরে চরসোনারামপুর গ্রামের গৃহবধূ লাভলী বেগমের (৩৫) সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। নকশিকাঁথা সেলাইয়ের ফাঁকে-ফাঁকেই চলে আলাপচারিতা। লাভলী বলেন, গেল ক’দিনের ভারী বর্ষণের ফলে চরে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। বেঁচে থাকাটাই যখন দায় তখন আর ঈদের আনন্দ দিয়ে কী করবো?
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. জিয়াউল হক মৃধা বলেন, আশুগঞ্জ উপজেলার মধ্যে চরসোনারামপুর গ্রামটি ঝুঁকিপূর্ণ । ভাঙনের বিষয়টি পানিসম্পদ মন্ত্রীকে আমি অবহিত করেছি। ঈদের পর মন্ত্রী চরসোনারামপুর গ্রাম পরিদর্শনে আসবেন। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান