ইউরোপজুড়ে চলছে তাপদাহ
আনোয়ারুল করিম: ইউরোপজুড়ে চলছে তীব্র তাপদাহ। ইতালি, অস্ট্রিয়া, নেদারল্যান্ড ও সুইজারল্যান্ডসহ গোটা ইউরোপে তাপদাহ চলছে। বৃহস্পতিবার এ অঞ্চলে তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ। লন্ডনে ১৯৭৬ সালের পর এ দিনটিই ছিল উষ্ণতম। এদিকে পতুর্গালে ভয়াবহ দাবানলের সৃষ্টি হয়েছে। তাপদাহের কারণে ক্রোয়েশিয়া উপকূলের দক্ষিণাঞ্চলে রবিবার থেকে দুটি দাবানল সৃষ্টি হয়। এতে কর্তৃপক্ষকে ৮০০ পর্যটককে অন্যত্র সরিয়ে নিতে হয়। এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। খবর এএফপি’র। অস্ট্রিয়ায় দমকল কর্মীরা সতর্ক রয়েছে। দেশটিতে সেইন্ট জন উৎসব উপলক্ষে বছরের দীর্ঘতম দিনে অগ্নিউৎসব উদ্যাপন করে। ইতালির আবহাওয়া পূর্বাভাসকারীরা জানান, চলমান তাপদাহ দেশটিতে ১৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণতম হতে পারে। দেশটির তাপমাত্রা গড় তাপমাত্রার চেয়ে প্রায় ৮ ডিগ্রি বেশি থাকতে পারে। মিলানে মৌসুমী গড় উষ্ণতা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আল্পস পর্বতমালায় ১ হাজার মিটার উঁচুতে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
১৯৯৫ সালের পর ব্রিটেনে এই প্রথম জুন মাসে পাঁচ দিন ধরে একটানা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চলছে। পশ্চিম লন্ডনে তামপাত্রা বেড়ে ৩৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। এটা ১৯৭৬ সালের পর জুন মাসে যুক্তরাজ্যের রেকর্ড তাপমাত্রা।
ইউরোপীয় আবহাওয়া কেন্দ্র থেকে সতর্ক করে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ তাপদাহ চলতেই থাকবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্যারিসে যে চুক্তি করা হয়েছে সেই অনুযায়ী যদি তাপমাত্রাকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমানোও হয় তবুও বিশ্বজুড়ে তাপদাহ অব্যাহত থাকবে। নেচার ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালের প্রধান লেখক কামিলো মোরা বলেন, আমরা প্যারিসে নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণ করলেও ২১০০ সাল নাগাদ বিশ্বের প্রায় অর্ধেক লোকই তাপদাহের শিকার হবে।সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু