ঈশ্বর হচ্ছে পরমাত্মা আর মানুষের মাঝে আত্মা, আত্মা পরমাত্মার একটি ক্ষুদ্র অংশ হিসেবে পৃথিবীতে আসে এবং আবার পরমাত্মাতে মিলিত হওয়াই এর চুড়ান্ত লক্ষ্য। পরমাত্মা ও জীবাত্মা এই দুই এর মাঝে যে আকর্ষণ একেই বলে প্রেম। প্রেমের মিলন শরীরে না, ঐ দুইয়ের মিলনেই প্রকৃত প্রেমের মিলন।
মহর্ষি নারদ তার ভক্তিসূত্রতে বলেছেন, ‘ঈশ্বরের কাছে সকল কর্ম সমর্পণ এবং মুহূর্ত কালের জন্যেও ঈশ্বর বিস্মরণ হলে অত্যন্ত ব্যাকুল হওয়াকেই ভক্তি বলে’১৯।। ‘যেমন ব্রজগোপীদের প্রেমভক্তি’।২১।।‘ঈশ্বরজ্ঞান ব্যাতীত প্রেমভক্তি ব্যভিচারী প্রেমের সমান’২৩।।‘(প্রিয়তমের) এইরুপ ব্যাভিচারী প্রেমের সুখে সুখী হওয়া যায় না’।২৪।
শ্রীকৃষ্ণকে গোপীরা কখনও সাধারণ মানুষ হিসেবে দেখে নাই। ঈশ্বরজ্ঞানে ভক্তি সহ প্রেম করেছে। আমরা এখন ও শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলার নাম শুনলে মনে মনে পুলকিত হই, সেখানে কিন্তু এক সখী মৃত্যুর পরে গিয়েছিল,কেননা তার বাসা থেকে তাকে বাইরে বের হতে দেয়নাই, তাকে বেধে রাখা হয়েছিল, যদি তারা সাধারণ মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে আসতেন তাহলে এইসব কিভাবে সম্ভব ছিল? শুধুমাত্রই সম্ভব যদি ঈশ্বরজ্ঞানে প্রেমভক্তি করা যায়। প্রতিটি প্রাণীর ই প্রথম স্বামী বা প্রভু হচ্ছে ঈশ্বর ।