স্বপন কুমার দেব, মৌলভীবাজার : এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওর পাড়ের কুলাউড়া, বড়লেখা, জুড়ি উপজেলার ১২ ইউনিয়নের ৩ লক্ষাধিক বানভাসী মানুষ বন্যায় চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। ২য় দফা এ বন্যায় হাওরপারের বিভিন্ন ইউনিয়নের শতভাগ মানুষের বাড়িঘরে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন তারা। বন্যায় আক্রান্ত হওয়ার ৭-৮ দিন অতিবাহিত হলেও সরকারি সাহায্য না পেয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন হাওরপারের দরিদ্র মানুষগুলো। আর সাহায্যপ্রার্থীদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন ।গত শুক্রবার কুলাউড়া ও জুড়ি ত্রলাকার কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি মানুষের বাড়ি ঘরে পানি উঠেছে। কারও বাড়িতে কোমর পানি, আবার কারও বাড়িতে হাঁটু পানি। ঘর থেকে বের হওয়ার কোন সুযোগ নেই। চর্তুদিকে পানি আর পানি।
তারা জানান, রান্না বান্না করতে পারছি না। তাই অনেকটা না খেয়ে আছি । এছাড়াও তাদের বাড়িঘরে পানি উঠায় তারা বাড়িঘর ছেড়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। আমাদের দেখার কেউ নেই। কুলাউড়ার ভুকশিমইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান জানান,ভুকশিমইল ইউনিয়নের শত শত মানুষের বাড়ি ঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। কিন্তু সরকারি ত্রাণ একবারেই অপ্রতুল।মানুষের চাহিদা কোনভাবে মেটানো যাচ্ছে না। হাকালুকি হাওরের সেই বুড়িকিয়ারী বাঁধটি অপসারণ করা হলে বন্যা এত ভয়াবহ হত না। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান