ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জুমাতুল বিদা পালিত
জাকারিয়া হারুন : যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শুক্রবার দেশব্যাপী জুমাতুল বিদা পালিত হয়েছে। রমজান মাসের শেষ জুমার দিন মুসলিম বিশ্বে ‘জুমাতুল বিদা’ হিসেবে পালন করা হয়। প্রত্যেক বছরের মতো গতকাল শুক্রবার দেশব্যাপী মসজিদে-মসজিদে রমজানের জুমার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। জুমার খুতবায় রোজার মাসের ফজিলত, যাকাত ও ইবাদতের গুরুত্ব ও দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। জুমাতুল বিদা আরবি শব্দ। এর শাব্দিক অর্থ সমাপনী সম্মেলন। সিয়াম সাধনার মাস রমজানের শেষ শুক্রবারকে ‘জুমাতুল বিদা’ বলে। এ দিবসকে ধর্মপ্রাণ মানুষ অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। একে কেন্দ্র করে প্রতিটি মুসলিম মনে আনন্দের হিল্লোল বয়ে যায়।
এক মাসের সিয়াম সাধনা শেষে মুসলিম মনে যে ঈদুল ফিতরের আনন্দ আসে তারই বার্তা জানান দেয় জুমাতুল বিদা। প্রতি সপ্তাহের জুমা দিবসে মুসলিম মনে এক নয়া জাগরণ সৃষ্টি হয়।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের মসজিদগুলোতে বিশেষ মোনাজাতে দেশ-জাতি ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও শান্তি কামনা করে আল্লাহর কাছে দোয়া ও মাগফিরাত কামনা করা হয়েছে। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ রাজধানীর মসজিদগুলোতে ছিল মুসল্লিদের ভিড়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জুমার নামাজের ইমামতি পালন করেন সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মহিউদ্দিন কাসেমী। মসজিদের ভেতরে জায়গা না পেয়ে মসজিদের বাইরেও আঙিনায় মুসল্লিরা নামাজ আদায় করেন। নামাজের আগে জুমাতুল বিদার তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করা হয়।
খুতবায় মুফতি মহিউদ্দিন কাসেমী বলেন, ‘জুমার দিনটি সর্বাধিক মর্যাদাবান, রমজানে সর্বোত্তম দিবস। মহানবী (সা.) বলেছেন, যে মুসলমান রমজান মাস পেল, কিন্তু সারা বছরের গুনাহখাতা মাফ করিয়ে নিতে পারল না, তার মতো অভাগা আর নেই। আল্লাহর করুণা, ক্ষমা লাভের জন্য সর্বোত্তম সময় রমজান।’ যাকাত আদায়ের বিষয়েও খুতবায় উল্লেখ করা হয়। মুফতি মহিউদ্দিন কাসেমী বলেন, ‘শুধু নিজে নিজে আনন্দ করা মানে ঈদ নয়। আশেপাশের প্রতিবেশি, আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে ভালোভাবে আনন্দ মানেই ঈদ। যারা আর্থিকভাবে সচ্ছল নয়, তাদের পাশে দাড়াতে হবে। জুমাতুল বিদা স্মরণ করিয়ে দেয় রমজান শেষ হতে চলেছে। রোজার ইবাদতের, ক্ষমা প্রার্থনার সময় যাচ্ছে।’ সম্পাদনা : জাহিদ হাসান