‘সরকারের নীল নকশায় খালেদাকে আদালতে হাজিরায় বাধ্য করছে’
কিরণ সেখ : সরকারের নীল নকশা অনুযায়ীই দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ঘন ঘন আদালতে হাজিরা দিতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়ার যুগ্ম-সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী এ অভিযোগ করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ঈদের আর মাত্র দুদিন বাকি থাকলেও গত বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনকে আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছে। তার আগের সপ্তাহগুলোতেও বেগম জিয়াকে একইভাবে মিথ্যা ও রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে হয়েছে। ঈদের দুদিন পর অর্থাৎ ২৯ জুন তাকে পুনরায় হাজিরা দিতে হবে। প্রতি সপ্তাহে খালেদা জিয়াকে আদালতে উপস্থিত করানো তার ওপর সরকারের পরিকল্পিত নির্যাতনের বহিঃপ্রকাশ। কোনো রকম বিরাম বা বিরতি না দিয়ে ক্রমাগত প্রতি সপ্তাহে আদালতে উপস্থিত করানো তাকে হয়রানি করার উদ্ধত আচরণ বলেও অভিযোগ রিজভীর। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলার ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব রাস্তা পরিবর্তন না করতেন তাহলে তার প্রাণনাশেরও আশংকা ছিল। এই ঘটনায় দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে যখন সমালোচনার ঝড় বইছে। যখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠনসহ দেশের নাগরিক সমাজ এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্য সরকারকে ধিক্কার জানাচ্ছে, ঠিক তখন হাছান মাহমুদ তার দলীয় ক্যাডারকে সিএনজি ড্রাইভার বানিয়ে গত বৃগস্পতিবার স্থানীয় বিএনপি নেতাদের নামে বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও লাজলজ্জাহীন কাল্পনিক মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলা দায়েরের এই ঘটনা কেবল হাস্যকরই নয়, এটি আওয়ামী লীগের নোংরা রাজনীতি ও নির্লজ্জ মিথ্যাবাদিতার একটি বহিঃপ্রকাশ- বলেন বিএনপির মুখপাত্র।
সামনে ঈদ উল্লেখ করে রিজভী বলেন, সাধারণ মানুষের মনে আগের মতো ঈদের সেই আনন্দ নেই। কারণ ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য ঈদের নতুন পোশাক কিনতে বাবা মায়ের নাভিশ্বাস উঠছে। আর যারা ক্ষমতায় আছেন, তারা তো হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করছেন। সুতরাং তাদের তো কোনো অসুবিধা নেই। তারা বাংলাদেশে ঈদের মার্কেট করছেন না। শোনা যাচ্ছে, সিঙ্গাপুর-ব্যাংকক ও কলকাতার মার্কেটে তাদের ভিড়। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ