আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অর্জন ‘বাংলাদেশ’
নূহ-উল-আলম লেলিন
আওয়ামী লীগ এদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম প্রাচীনতম দল। পাকিস্তানি আমলে আওয়ামী লীগ একটা বিশেষ পটভূমিতে গড়ে উঠেছিল। বাঙালি জাতীয়তাবাদ, বাংলা ভাষা এবং বাঙালি জাতির আত্মপরিচিতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এ দল জনমত গঠন করেছে। আওয়ামী লীগ মানুষের অধিকার আদায়ে জনসচেতনতার জন্য কাজ করেছে। সর্বোপরি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলার মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। এ দল আমাদের জাতীয় স্বাধীনতার যে আন্দোলন তাকে সার্থক পরিণতির দিকে নিয়ে গেছে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের ভেতর দিয়ে। কাজেই আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে ‘বাংলাদেশ’।
স্বাধীনতার পর দেশ পুনর্গঠনের অপার সম্ভাবনার যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল সেটা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে কলঙ্কে লিপ্ত হয়। দীর্ঘ সামরিক ও স্বৈরাশাসনের ফলে বাংলাদেশের কাক্সিক্ষত যে উন্নয়ন সেটা সম্ভব হয়নি। বঙ্গবন্ধু যেটা সবসময় বলতেন ‘সোনার বাংলা’ সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন বা রুপায়নের মতো মানুষ সৃষ্টি হয়নি।
বর্তমান সরকারের আমলে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের যে আকাক্সক্ষা সেটা রূপায়িত হচ্ছে। মানুষের যে স্বপ্ন ও শহীদের যে আত্মদান ছিল, সেটা সার্থক করার জন্য ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের কাঙ্খিত সাফল্য অর্জন যেটা ২০২১ সালে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। ইতোমধ্যে আমাদের পার ক্যাপিটাল ইনকাম ১৬০০ ডলারের উপরে এবং শিক্ষা-সংস্কৃতি সর্বক্ষেত্রে বিপুল অগ্রগতি হয়েছে।
৬৮ বছরের আওয়ামী লীগের প্রথম অর্জন যদি বলা যায় সেটা মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতা। দ্বিতীয় অর্জন হচ্ছেÑ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বা আকাক্সক্ষা এবং যে সুখী সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ গড়ে তোলার বীজ সুপ্ত ছিল সেই বীজ রূপায়নের পথেও আওয়ামী লীগই বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এখন আর বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুঁড়ি নয়, বাংলাদেশ উন্নত সভ্যতা গড়ে তুলছে। আশা করি, ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
পরিচিতি: লেখক, সাংবাদিক ও রাজনীতিক
মতামত গ্রহণ: তানভীন ফাহাদ
সম্পাদনা: আশিক রহমান