উৎসবের উদুল ফিতর
হুমায়ুন আইয়ুব
বিদায় রমজান। এলো ঈদ। ঈদুল ফিতর। ঈদুল ফিতর মুমিন রোজাদার বান্দার জন্য খুশির দিন। ঈদুল ফিতর হলো পুরস্কার লাভের দিন। রমজানের সিয়াম সাধনা শেষে প্রতিবারের মতো এবারও আমাদের কাছে সমাগত পবিত্র ঈদুল ফিতর। ধনী-গরিব, সাদা-কালো, ছোট-বড় সবাইকে প্রীতির পুণ্যময় বন্ধনে আবদ্ধ করতে এ দিনের বিকল্প নেই। এ জন্য ঈদের দিনকে মুসলিম বিশ্বের জাতীয় উৎসব হিসেবে গণ্য করা হয়। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক জাতির জন্য আনন্দ-উৎসবের দিন রয়েছে। আমাদের আনন্দ-উৎসবের দিন হলো ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা (বুখারি, মুসলিম)। ঈদ অর্থ আনন্দ বা উৎসব আর ফিতর অর্থ ভঙ্গ করা। রমজান মাসের সিয়াম সাধনা শেষে রোজা ভঙ্গ করার যে উৎসব পালন করা হয়, তাকে ঈদুল ফিতর বা রোজার ঈদ বলা হয়। ঈদুল ফিতর হলো মুসলমানের আনন্দ উৎসব। প্রত্যেক মুসলমানের জীবনে এই উৎসবটির গুরুত্ব অনেক বেশি। মুসলিম পরিবারের এই মহান উৎসবকে যথাযথ গুরুত্ব ও মর্যাদার সাথে পালন-উদযাপন করাই একজন রোজাদারের প্রকৃত দায়িত্ব। আর এই সুষ্ঠু পালন প্রক্রিয়াতেই রোজাদারের প্রকৃত তৃপ্তি নিহিত। হজরত ওয়াহাব ইবনে মুনাব্বিহ (রা.) ঈদের দিন কাঁদছিলেন। কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, ‘আজ খুশির দিন ওই ব্যক্তির জন্য, যার রোজা কবুল হয়েছে।’
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ মহান বিত্তবানদের সে রকম নির্দেশনাই দিয়েছেন, ‘যতক্ষণ না তোমরা দরিদ্রদের চোখের পানি মুছে দেবে, যতক্ষণ না তোমরা তাদের ভালো পোশাকে আবৃত করবে এবং তাদের জন্য ভালো খাবারের ব্যবস্থা করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা ঈদ পালন করবে না’। প্রত্যেক রোজাদারের জন্য ইসলাম দুটি আনন্দের দিন ঘোষণা দিয়েছে। তার মাঝে একটি হলো পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন আর অন্যটি হলো পরকালে যেদিন রোজাদারের সাথে আল্লাহ মহান দেখা করবেন। তাই ঈদুল ফিতর হোক আমাদের মাঝে আনন্দ ভাগাভাগির উৎসব। মুছে যাক ধনী-গরিবের ভেদাভেদ। দূর হোক সব গ্লানী। ঈদ উৎসবের আনন্দে মুগ্ধ হোক মুসলিমবিশ্ব।
যড়সধঁহধুঁন@ুধযড়ড়.পড়স