আওয়ামী লীগের কাছে ১০-১২টি আসন চাইব : নাজমুল হুদা
আনোয়ারুল করিম : বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী (বিএনপি) দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তিনি। বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করেছেন একাধিক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবেও। বর্তমানে নিজ প্রতিষ্ঠিত তৃণমূল বিএনপি ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্সের (বিএনএ) চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের জোটবদ্ধ হয়ে আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে চান। এজন্য আওয়ামী লীগের কাছে তিনি ১০ থেকে ১২টি আসন দাবি করবেন। গতকাল শনিবার এক সাক্ষাৎকারে নাজমুল হুদা এ তথ্য প্রকাশ করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে নাজমুল হুদা বলেছেন, বিএনপির নেতৃত্বে ২০ দল রয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ১৪ দল; আর আমার তৃণমূল বিএনপি নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএনএ। বড় দুই দলের বাইরে এসে আমি একে জনগণের রাজনৈতিক দল হিসেবে সংগঠিত করছি। তবে ১৪ দলের সাথেও একটা যোগাযোগ রয়েছে। আমরা ১৪ দলের সঙ্গে আছি, তবে আমাদের পুরোপুরি যোগদানের বিষয়টি তো পুরোপুরি নির্ভর করছে শেখ হাসিনার হাতে। আমরা আমাদের আগ্রহ প্রকাশ করতে পারি, তাদের আমাদের জোট নিয়ে ৪৫ দল করার প্রস্তাব দিতে পারি। সেক্ষেত্রে আমরা ১০-১২টি সিটের প্রস্তাব করতে পারি। আওয়ামী লীগের যেসব আসনে শক্ত প্রার্থী নেই, সেখানে আমরা প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা করব।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থেকে, ক্ষমতার প্রভাবে, ক্ষমতার অর্থে গড়া রাজনৈতিক দল। জাতীয় পার্টিও একই। কেবল আওয়ামী লীগই এদেশে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে। এরপর আমার তৃণমূল বিএনপি হবে দ্বিতীয়, যেটি জনগণের ভেতর থেকে গড়ে উঠছে। এখানে অর্থের প্রভাব নেই, ক্ষমতার প্রভাব নেই; জনগণ আছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জনগণের ক্ষমতায়ন জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। সুস্থ ও অবাধ নির্বাচন হতে হবে, যেখানে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে। নির্বাচন দরকার, তবে সেটি ৫ জানুয়ারির (২০১৪) মতো না।
তিনি বলেন, আমরা এদেশ থেকে স্বৈরশাসনকে চিরতরে দূর করতে চাই। সেজন্য প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানাই। স্বৈরশাসক ছিলেন এরশাদ, খালেদা জিয়াও; আবার স্বৈরশাসক ইনিও (শেখ হাসিনা)। কিন্তু আমরা আশাবাদী, উনার (শেখ হাসিনা) হাত ধরেই এদেশ স্বৈরাচারমুক্ত মুক্ত হবে। তাকে সেজন্য উদ্বুদ্ধ করতেই আমরা তার পাশে আছি। সম্পাদনা : গিয়াস উদ্দিন আহমেদ