অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: দেশে কর ও শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে মুঠোফোন আমদানি বাড়ছে। আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে এখন প্রতি ৪টি মুঠোফোনের ১টিই অবৈধভাবে আমদানি হয়।
আগামী বাজেটে মুঠোফোন আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে অবৈধ আমদানি আরও বাড়বে। এর ফলে অবৈধ আমদানি মোট আমদানির ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ হয়ে যাবে বলে তাঁরা আশঙ্কা করছেন।
আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মুঠোফোন আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানে একটি সম্পূর্ণ মুঠোফোন আমদানিতে সব মিলিয়ে ২৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ কর দিতে হয়। এর মধ্যে ৫ শতাংশ শুল্ক, ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক), ১ শতাংশ সারচার্জ ও ২ শতাংশ অগ্রিম কর হিসেবে দিতে হয়।
আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় মুঠোফোন আমদানিতে এখন সব মিলিয়ে ৩৪ দশমিক ৫ শতাংশ কর দিতে হবে। এতে করে ৫ হাজার টাকার ১টি মুঠোফোনের দাম বাড়বে কমপক্ষে ৬ হাজার টাকা।মুঠোফোন আমদানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ মোবাইল ফোন ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) হিসাবে, ২০১৬ সালে বৈধ পথে ৩ কোটি ইউনিট মুঠোফোন আমদানি হয়। এর আনুমানিক বাজারমূল্য ছিল প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। এর সঙ্গে অবৈধভাবে আমদানি হওয়া মুঠোফোনের বাজার ছিল আরও কমপক্ষে ৩ হাজার কোটি টাকার। এই ৩ হাজার কোটি টাকার অবৈধ বাজার থেকে সরকার কোনো রাজস্ব পায়নি।