প্রত্যাশা আশ্রয়ণ কেন্দ্রে মাথাগোঁজার ঠাঁই হয়েছে ৭০টি প্রতিবন্ধী পরিবারের
অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : রাজধানী থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে ভাওয়ালের গজারি বনে ঘেরা জাতীয় উদ্যানের পাশে প্রত্যাশা আশ্রয়ণ কেন্দ্রে মাথাগোজার ঠাঁই পেয়েছে কুষ্ঠু রোগীসহ প্রতিবন্ধী ৭০টি পরিবারের প্রায় পৌনে তিনশ’ সদস্য। – বাসব
ভিক্ষাবৃত্তি প্রতিরোধে প্রাথমিক প্রচেষ্টা হিসেবে ২০০০ সালে ২৮ জানুয়ারী কালিয়াকৈর উপজেলা সদর হতে প্রায় ২০ কিলোমিটার উত্তর পূর্ব দিকে গজারিবনের ভিতরে প্রত্যাশা আশ্রয়ণ প্রকল্প শুরু হয়।
প্রথমে ৫৪ টি পরিবারকে এখানে আনা হয়েছিল। ৫৪ টির মধ্যে প্রত্যেক পরিবারেই একজন করে সদস্য এক সময়ে কুষ্ঠু রোগে আক্রান্ত। যাদের কেউ হারিয়েছেন হাত আবার কেউ হারিয়েছেন পা। রোগ মুক্তি হলেও পঙ্গুত্ব জীবনের কারণে তারা কোন কাজ করতে পারেন না। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, আগারগাঁও পঙ্গু হাসপাতাল এলাকার আশ-পাশের বস্তিই ছিল তাদের ঠিকানা। খোলা আকাশই ছিল তাদের ছাদ।
গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের বান্দাবাড়ি গ্রামে বর্তমানে ৭০ টি পরিবারকে মোট ৭ দশমিক ৯২ একর খাস জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে বসত বাড়ির জন্য ৭ দশমিক শূণ্য ৫ একর, কমিউনিটি সেন্টারের জন্য দশমিক শূন্য ১০ একর, স্কুলের জন্য দশমিক শূন্য ৫৭ একর, কবরস্থানের জন্য দশমিক শূন্য ১০ একর, মসজিদের জন্য দশমিক শূন্য ৫ একর জমি।
বান্দাবাড়ি গ্রামটি ভাওয়ালের গভীর অরণ্যে অবস্থিত হলেও ২০০০ সালের ১০ অক্টোবর হতে প্রত্যাশা আশ্রয়ণ প্রকল্প চালুর পর এখানে বেশ কয়েকটি দোকান-পাট গড়ে উঠে। বিদ্যুৎও পৌঁঁছে যায়। কিন্তু
২০০১ সালে বিএনপি জোট ক্ষমতায় আসার পর হতে তাদের প্রাপ্য সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তখন সরকারের আবাসন বাস্তবায়ন সংস্থার (আবাস) মাধ্যম প্রত্যাশা আশ্রয়ণ প্রকল্পের সদস্যরা বহু-আবেদন নিবেদন করেছেন বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু কোন সুফল পাননি।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের নেতা মতিউর রহমান বলেন, সময়মত ওষুধ ও চিকিৎসা দেয়া হলে কুষ্ঠু এখানকার রোগীদের সংখ্যা কমে যেতো। গত ১৬ বছরে কুষ্ঠু রোগের হার অনেক কমেছে বলে কয়েকজন মন্তব্য করেন তিনি।
রাজধানীর ঢাকার উপকন্ঠে পাশ্ববতী গাজীপুর জেলা কালিয়াকৈর উপজেলার বান্দাবাড়ি গ্রামটির প্রায় ৮০ ভাগই বনাঞ্চল। বনের ভিতর দিয়ে বয়ে গেছে পাকা রাস্তা। উপজেলা সদর হতে উত্তর দিকে ১৪/১৫কিলোমিটার দূরে বোয়ালিয়ার বান্দাবাড়ি গ্রাম । প্রায় আট একর জমির উপর টিন শেড ঘরে ৬০টি পরিবারের জন্য নির্মিত স্থায়ী আবাসন প্রকল্প প্রত্যাশা। অর্থাৎ প্রত্যাশা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৬০টি পরিবারের বর্তমানে মোট জনসংখ্যা হচ্ছে প্রায় ২৭৫ জন। সম্পদনা : হাসান আরিফ