বাংলাদেশে ঝুঁকি কম তবুও সাইবার হামলা নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ
বিশেষ প্রতিনিধি : এক মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বব্যাপী সাইবার হামলা হয়েছে। তবে এসব হামলায় বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। ভয়ঙ্কর ভাইরাস র্যানসমওয়্যারের সম্ভাব্য আক্রমণ নিয়ে এখন সারা বিশ্বে আতঙ্ক চলছে। তবে এই হামলায় বাংলাদেশ ঝুঁকির মধ্যে না থাকলেও সংশ্লিষ্ট বিশেজ্ঞরা সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার মাত্র এক মাসের ব্যবধানেই দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ সাইবার হামলার পরিপ্রেক্ষিতেই এই সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন প্রযুক্তিবিদরা। গত মে মাসে র্যানসমওয়্যার ভাইরাসের মাধ্যমে কমপক্ষে ৭৪টি দেশে সাইবার হামলা চালানো হয়। মঙ্গলবারের সাইবার হামলাতেও ব্যবহার করা হয়েছে র্যানসমওয়্যার। ইউক্রেন থেকে শুরু হওয়া এ হামলায় আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ডেনমার্ক, স্পেন, ফ্রান্স ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশের বহু প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ডেনমার্কের শিপিং প্রতিষ্ঠান মেরস্ক, রুশ তেল কোম্পানি রসনেফট, বিশ্বের বৃহত্তম বিজ্ঞাপনী সংস্থা ব্রিটেনের ডব্লিউপিপির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোও রয়েছে।
ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, সাইবার আক্রমণের হিট লিস্টে বাংলাদেশের নাম নেই। তবে এখনো সব অফিসে ঈদের ছুটি শেষ হয়নি। ছুটি শেষে শনি বা রবিবার অফিস খুললে তবেই বোঝা যাবে কোনো কম্পিউটার আক্রান্ত হয়েছে কিনা। তবে এখন যারা কম্পিউটার ব্যবহার করছেন, তাদের কম্পিউটার ব্যবহারে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক অপারেটর্স গ্রুপের (বিডিনগ) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সুমন আহমেদ সাবির বলেন, দেশের কোথাও এই ভাইরাস অ্যাটাক করেছে, এখনো এমন খবর পাওয়া যায়নি। গতকাল অফিস কিছু কিছু খুললেও আগামী সপ্তাহের আগে কিছুই বলা যাবে না।
এই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, র্যানসমওয়্যার থেকে রক্ষা পেতে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। এই ধরনের ভাইরাসের মাধ্যমে আক্রমণের ঝুঁকিতে সবচেয়ে বেশি রয়েছেন উইন্ডোজ এক্সপি ব্যবহারকারীরা। তবে উইন্ডোজ সেভেন বা এর পরের উইন্ডোজ সংস্করণগুলো যারা ব্যবহার করছেন, তাদের নিজ নিজ অপারেটিং সিস্টেমের (ওএস) নিরাপত্তা প্যাচ এখনই হালনাগাদ করে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। সম্পাদনা : উম্মুল ওয়ারা সুইটি