এবি ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি মোরশেদ খানসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ডেস্ক রিপোর্ট : বিএনপি নেতা সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লি.-এর চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খানসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে এবি ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে ৩৮৩ কোটি ২২ লাখ ১০ হাজার ৩৬৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।যমুনা নিউজ
গতকাল দুদকের উপ পরিচালক শেখ আবদুস ছালাম বাদী হয়ে ডিএমপির বনানী মডেল থানায় দ:বি: ৪০৯/১০৯/৪২০ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করেন। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপ পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য। এ মামলায় ১৬ আসামির মধ্যে রয়েছেন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লি.-এর চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান, ওই প্রতিষ্ঠানের ভাইস চেয়ারম্যান আসগর করিম, পরিচালক নাছরিন খান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহবুব চৌধুরী, এবি ব্যাংক লি.-এর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাইজার আহমেদ চৌধুরী, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফজলুর রহমান, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম আহম্মেদ চৌধুরী, বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মসিউর রহমান চৌধুরী, ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেণ্ট ডিপার্টমেন্টের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেণ্ট সালমা আক্তার, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেণ্ট মহাদেব সরকার সুমন, এবি ব্যাংক লি.-এর মহাখালী শাখার এসভিপি ও রিলেশনশীপ ম্যানেজার সৈয়দ ফরহাদ আলম, একই শাখার এসভিপি ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার আরশাদ মাহমুদ খান, এসভিপি ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার মো. জাহাঙ্গীর আলম, এসএভিপি শাহানুর পারভীন চৌধুরী, এভিপি ও মহাখালী শাখা ব্যবস্থাপক জার ই এলাহী খান এবং এবি ব্যাংকের মহাখালী শাখার রিলেশনশিপ অফিসার মো. কামারুজ্জামান।
দুদক কর্মকর্তারা জানান, এ মামলার আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেরা আর্থিকভাবে লাভবান হবার জন্য প্রতারণা, দুর্নীতি বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে প্যাসিফিক টেলিকম বাংলাদেশ লি.-এর ব্যাংক গ্যারান্টির আবেদনের ওপরই ঋণ মঞ্জর করেন। কোন প্রকার যাচাই-বাছাই না করে, জামানতবিহীন ব্যাংক গ্যারান্টি ইস্যু করা হয়। এবি ব্যাংক এবি ব্যাংকের ঋণ প্রদান সংক্রান্ত নিয়াম ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার উপেক্ষা করা হয়েছে। এবি ব্যাংকের মহাখালী শাখা থেকে ঋণের প্রস্তাবটি এবি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়। প্রধান কার্যালয় উক্ত প্রস্তাব অনুমোদনের বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে শাখার প্রস্তাব ও ক্রেডিট কমিটির সুপারিশ মোতাবেক তৎকালীন ৩ জন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সহায়তায় ৩৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার অপরিবর্তনীয় শর্তবিহীন ব্যাংক গ্যারান্টি অনুমোদন করা হয়।
পরে অপরিবর্তনীয় শর্তবিহীন ব্যাংক গ্যারান্টি সহায়ক জামানত হিসেবে পিবিটিএল ব্যবহার করে প্রধান আসামি এম মোরশেদ খান ঢাকা ব্যাংক লি., আইএফআইসি ব্যাংক লি., সিটি ব্যাংক লি., এনসিসি ব্যাংক লি., বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লি., পূবালী ব্যাংক লি., সাবিনকো লি. এবং ফিনিক্স লি. থেকে এক বছর মেয়াদে ৩৪৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে উক্ত ঋণসমূহ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পিবিটিএল পরিশোধ করা হয়নি। ওই ঋণ সুদসহ ৩৮৩ কোটি ২২ লাখ ১০ হাজার ৩৬৩ টাকা হয়েছে।