আসাদুজ্জামান স্বপন, শরণখোলা (বাগেরহাট) : পরিবারের সাথে ঈদ পুনর্মিলী করা হলোনা বাগেরহাটের শরণখোলার সৌদি প্রবাসী আ. হালিম আকনের। তিনি সৌদি আরব থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টায় দেশে ফেরার পর মাইক্রোবাস যোগে স্বপরিবারে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সকাল ৯টার দিকে গোপালগঞ্জ-ঢাকা মহাসড়কের কাশিয়ানীর গেড়াখোলা এলাকায় পৌঁছলে বিপরীতমুখী সেবাগ্রীণ লাইনের একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে পরিবারের ৪ সদস্যসহ ৬জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
নিহত সৌদি প্রবাসী হালিম আকনের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, আহাজারি আর শোকের মাতম। হালিমের ভাইয়ের স্ত্রী আসমা আক্তার (৩০) আহাজারি করতে করতে বলেন, ১৫ রমজানে আমার দেবরের দেশে আসার কথা ছিলো পরিবারের সাথে ঈদ করবে বলে। টিকিট না পাওয়ার কারণে ২৮ জুন সৌদি থেকে রওনা দেয়। গতকাল ভোর সাড়ে ৫টায় ঢাকায় এসে নামে। স্বামীকে আনার জন্য বুধবার স্ত্রী আসমা আক্তার পনু, তার ভাই ও দুই সন্তানকে নিয়ে এয়ারপোর্টে যায়। সেখান থেকে মাইক্রোবাসে বাড়ি এসে সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ করবে। কিন্তু তা আর হলোনা। নিহত হালিমের আরেক ভাবি সাফিয়া বেগম বলেন, ৬ ভাইবোনের মধ্যে হালিম সবার ছোট। দেড় বছর বয়সে তার মা মারা যায়। এর পর থেকে তাকে সন্তানের মতো করে বড় করেছি। ১৫ বছর আগে হালিমকে আমার স্বামী মতিয়ার রহমান আকন সৌদি আরবে পাঠান।
এখন পরিবারে সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে স্বপরিবারে চলে গেলো। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান