এম.নাজিম উদ্দিন, রাঙামাটি : ঘরবাড়ি আর স্বজন হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে প্রায় দুই হাজার পরিবার। বিধ্বস্ত ঘরবাড়িতে আর ফেরার উপায় নেই। রাতে আশ্রয়কেন্দ্র আর দিনে বিধ্বস্ত ঘর বাড়ি দেখে ঘুরে ফিরছে সবাই। এরপর কোথায় যাবে,কি খাবে জানা নেই কারোর। বৃষ্টিতে পাহাড়ের ভাঙনের আশঙ্কা এখনো তাড়া করছে সকলকে। কেড়ে নিয়েছে চোখের ঘুম। আতঙ্কিত মানুষের কাছে এবার ঈদ ছিলো কেবলই বেদনার।
পাহাড় ধসে প্রাণ গেছে ১২০ জনের। ঘরবাড়ি ধংস করে জীবন ওলট পালট করে দিয়েছে। এরই মধ্যে এসেছে ঈদ। আহত অনেকেই হাসপাতালে ছেড়ে গেলেও এখনো শরীরের যন্ত্রণায় দিন কাটাচ্ছেন কেউ কেউ। আহতরা জানান, প্রাণে বেঁচে যাওয়ার আনন্দ ঈদের আনন্দের চেয়ে বেশি। তবে তাদের মুখে কিছুটা হলেও হাসি ফোটাতে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ঈদ উপলক্ষে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ি বাঙালি সবাইকে নতুন জামা কাপড় দিয়ে ঈদের আনন্দ একসঙ্গে ভাগাভাগি করে নিয়ে ছিল প্রশাসন। ঈদের দিনে প্রত্যেক আশ্রয় কেন্দ্রে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হয়। সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান, রাঙামাটি রিজিয়নের রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফারুক,পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, পৌর মেয়র মো. আকবর হোসেন চৌধুরী সহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করেন। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান