রফিক আহমেদ : সিপিবি, বাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পার্টির শীর্ষ নেতারা বলেছেন, দেশের কৃষক, শ্রমজীবী ও গরীব শ্রেণীর মানুষ না পেলেও চলতি অর্থবছরের এ বাজেটের বরাদ্দ অর্থ হবে লুটপাট। গতকাল বৃহস্পতিবার বাম চার দলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা এ প্রতিবেদকের কাছে এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেছেন, বাজেট নিয়ে সংসদে মন্ত্রী-এমপিরা যে ধরনের প্রশ্ন ও বিতর্ক তুলেছিলেন তার থেকে প্রতীয়মান হয় যে, বাজেট প্রণয়ন বিষয়ে তারা পূর্বে কিছুই জানতেন না। বাজেট পেশ ও পাশ উভয় প্রক্রিয়াতে যে নাটকীয়তা ছিল তাও প্রকাশ হয়ে পড়েছে। অর্থমন্ত্রীকে দোষারোপ করে আবার প্রধানমন্ত্রীর সহানুভবতা দেখানোর মধ্যদিয়ে।
তিনি বলেন, দু’বছর পর ভ্যাট আইন কার্যকর করা হবে-এ কথা বলার মধ্যদিয়ে নির্বাচনকে সামনে রেখে যে বাজেট করা হয়েছে তাও প্রতীয়মান হলো।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন, চলতি অর্থ বছরের বাজেট মুক্তবাজারপন্থী বাজেট। এ বাজেটের বরাদ্দ কৃষক-শ্রমিক ও গরীব মানুষের হাতে পৌঁছবে না। এছাড়াও বাজেটের বড় বড় প্রকল্পেও ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি হবে বলে মনে করি।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিট ব্যুরোর সদস্য বিমল বিশ্বাস বলেন, বাজেটের টাকা দিয়ে বাংলাদেশে উন্নয়নের নামে ধনীক শ্রেনীর উন্নয়ন হচ্ছে, কৃষক-শ্রমিক ও সাধারণ গরীব মানুষের উন্নয়নে নয়। দেশের চেহারায়ই বলে দেয়- যারা হাজার হাজার একর জমি চাষ করে তাদের নামে কোনো টাকা বরাদ্দ হয় না এবং ধারের কাছেও বাজেটের বরাদ্দকৃত টাকা যায় না। এই টাকা লুটপাট হয়ে যায়।
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কথায় আবগারি ভ্যাট প্রত্যাহার করে বাজেট পাশ হয়েছে। কিন্তু এ বাজেটের বরাদ্দ কৃষক-শ্রমিক ও গরীব মানুষের হাতে পৌঁছার কোনো সম্ভাবনা নেই। এই বাজেটে বৈষম্য, কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দূর করার কিছুই নেই। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু