রাশিদ রিয়াজ : ইসরায়েলি পুলিশ মুসলমানদের জেরুজালেমে আল-আকসা মসজিদে প্রবেশের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে। ইসরায়েলি পুলিশ প্রধান পবিত্র স্থানে হামলার নিন্দা জানিয়ে এধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন। কিন্তু ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ বলছে, ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের ইসরায়েলি বাহিনী ওই হামলা চালানোর অনুমতি দিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ইসরায়েলি পুলিশ ৪০ বছরের কম মুসলিমদের আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এরপর সব বয়সী মুসলমানদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এক বিবৃতিতে আল-আকসা এ্যাফেয়ার্সের ডিরেক্টর জেনারেল আজাম আজাম আল-খতিব এ তথ্য জানান। তিনি আরো জানান, এক দল চরমপন্থী ইহুদি বাসিন্দাদের হত্যার প্রতিবাদে আল-আকসা মসজিদের চারপাশে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করে। তাদের সঙ্গে ইসারায়েলি পুলিশ প্রধান ইউরাম লেভি ছিলেন। এধরনের বিক্ষোভ ও হট্টগোলের পর থেকে মুসলমিদের আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
মুসলিমদের জন্যে আল-আকসা মসজিদ তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। ইহুদিরা দাবি করে তাদের প্রাচীন টেম্পল মাউন্ট একই এলাকায় অবস্থিত ছিল। ১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর ইহুদিরা পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয়। ১৯৮০ সালে তা ইহুদিদের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করলেও জাতিসংঘ বা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তা স্বীকৃতি দেয়নি।
২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে বিতর্কিত ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ এরিয়েল শ্যারন ওই স্থানটি ইহুদিদের পবিত্র ধর্মীয় স্থান হিসেবে পরিদর্শন করার পর ফিলিস্তিনিরা তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিরোধ শুরু করে যা দ্বিতীয় ইনতিফাদা বলে পরিচিত। মুসলমানদের এ ধরনের প্রতিবাদে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি মারা গেছে। ইয়েনিসাফাক