রিকু আমির : দেশের চিকিৎসাব্যবস্থা ও চিকিৎসকদের ওপর আস্থা রাখতে হবে, ভরসা করতে হবে মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভরসা করেন বলে দেশে চিকিৎসা করান। আর এইচ এম এরশাদের আস্থা নেই বলে বিদেশে চিকিৎসা করান। তিনি বিদেশি চিকিৎসকদের প্রতি আস্থা রাখেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের বাজেটে মঞ্জুরি দাবি ও ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গত বুধবার জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদের দেওয়া বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলীয় নেত্রী বলেছেন, দেশে হাসপাতাল, ডাক্তারের প্রয়োজন নেই। তার এই স্বপ্নের কথা ভাল লেগেছে। এইচ এম এরশাদ ১০ বছর ক্ষমতায় ছিলেন। কিন্তু বাস্তবায়ন করতে পারেননি। নাসিম বলেন, দেশের চিকিৎসকেরা পরিশ্রম করেন। ব্যর্থতার কথা অস্বীকার করি না। তবে অন্য দেশে বাংলাদেশের মতো রোগীর চাপ নেই। চিকিৎসকদের ওপর আস্থা রাখতে হবে। সম্পদের সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু তারপরও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সেবা খাতে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। বাজেটে বরাদ্দের দিক দিয়ে নেপালের থেকে বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। বরাদ্দ বাড়িয়ে দিলে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হবে।
এর আগে ছাঁটাই প্রস্তাবে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মিলন বলেন, দেশে চিকিৎসক আছে, তবে উপজেলা পর্যায়ে অনেক চিকিৎসক সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেন না। তারা ঢাকায় থাকেন। স্বাস্থ্য খাতে মঞ্জুরি দিতে আপত্তি নেই। কিন্তু গ্রামীণ জনগোষ্ঠী যাতে সঠিক চিকিৎসা পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
পিরোজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, ‘আমি ডাক্তার, বলতে গেলে কোথাও যেতে পারি না। হাসপাতালে বরাদ্দ কম। শয্যা কম’।
জাতীয় পার্টির সাংসদ কাজী ফিরোজ রশীদ হাসপাতালের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, আইসিইউসহ অন্যান্য সমস্যার কথা তুলে ধরেন। জাতীয় পার্টির সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ রওশন আরা মান্নান বলেন, দেশে স্রোতের মতো জনসংখ্যা বাড়ছে। জন্মনিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম গুরুত্বহীন ও স্থবির হয়ে পড়েছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না হলে সবকিছু বৃথা যাবে। এইচ এম এরশাদের আমলে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছিল বলেই দেশে কোনো অরাজকতা ছিল না। সম্পাদনা : হুমায়ুনকবির খোকন