তরিকুল ইসলাম সুমন : হাওরের বন্যায় আমাদের যে ফসলের ক্ষতি হয়েছে তার সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা চালের দাম বাড়িয়েছে। আমাদের রেজিস্টার্ড ডিলারদের কাছে বর্তমানে ১ কোটি ৬ লাখ টন চাল মজুদ আছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন।
গতকাল জাতীয় সংসদে খাদ্যমন্ত্রী আগামী বাজেটে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য আরও বরাদ্দ চাইলে কয়েকজন সংসদ সদস্য তাতে আপত্তি তোলেন। ওই আপত্তির জবাবে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। কামরুল ইসলাম বলেন, ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ টন চাল দ্রুত সময়ে দেশে আসবে। দরপত্র আহ্বান করা দেড় লাখ টন চালও আসবে। মোট চার লাখ টন চাল পাইপলাইনে আছে। আমাদের নিজস্ব খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে ১ মণ চাল উৎপাদনে খরচ হয় ৭০০ টাকা। আর কৃষকরা এবার ধান বিক্রি করেছে ৯০০-৯৫০ টাকায়। কৃষকদেরকে এই সুযোগ দিতেই কিছুটা দেরি করে চাল আমদানিতে শুল্ক উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারত ও থাইল্যান্ড থেকেও চাল আসবে। মজুত কিছুটা কম এ কথা স্বীকার করছি। যদি চালের মূল্য না বাড়তো তাহলে এ মুহূর্তে চার লাখ টন চাল সরকারি গুদামে মজুত থাকতো কিন্তু চাল এসেছে মাত্র ৫৬ হাজার টন। তবে চাল আমদানি হলে ৩ লাখ টন মজুত দাঁড়াবে।
ভিজিএফ নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার ভিজিএফ-এ ৫৫ লাখ পরিবারকে চাল দিচ্ছে। প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে প্রত্যেক পরিবারকে চাল দেওয়া হচ্ছে। গত ৫ মাসে মোট ১৫০ কেজি চাল দেওয়া হয়েছে। ভিজিএফ পদ্ধতি বাতিলের ব্যাপারে মত দিয়ে তিনি বলেন, ভিজিএফ তুলে দেওয়া উচিত, কিন্তু ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ভিজিএফ বরাদ্দ দিয়ে ফেলেছে যার কারণে ভিজিএফ বন্ধ করা যাচ্ছে না। সম্পাদনা : শাহানুজ্জামান টিটু