জাফর আহমদ: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের বর্তমান ১৮ জন নারী জাতীয় নেতাদের মধ্যে অন্যতম হিসেবে চিত্রিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত ‘নারী রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী’ শীর্ষক একটি গ্রন্থে। গ্রন্থটি রচনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার কর্মী ও শিক্ষাবিদ রিচার্ড ও’ব্রেইন।
গত মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসির ওমেন্স ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ক্লাবে (ডব্লিউএনডিসি) বিদেশী কূটনীতিক, নারী নেত্রী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে গ্রন্থটি প্রকাশ করা হয়। গ্রন্থে ৬ জন বিশ্ব নেতার সঙ্গে শেখ হাসিনার ছবিও ছাপা হয়েছে।
লেখক রিচার্ড ও’ব্রেইন তার গ্রন্থে উল্লেখ করেন, অনেক প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও শেখ হাসিনা ও তার সরকারের প্রথম মেয়াদে ১৯৯৭ সালে যুগান্তকারী পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি, স্থলমাইনের ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ ও ক্ষুদ্র ঋণ সম্মেলনে সভাপতিকে সহায়তা ও নারী কল্যাণ গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাসহ অনেক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করেছেন। রিচার্ড তার গ্রন্থে শান্তি ও গণতন্ত্রের বিকাশে শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির উল্লেখ করে বলেন, শেখ হাসিনা মাদার তেরেসা পদক ও গান্ধী পদক অর্জন করেছেন।
বাংলাদেশকে অধিকতর স্থিতিশীল ও অধিকতর গণতান্ত্রিক এবং অপেক্ষাকৃত কম হিংসাত্মক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রয়াসের প্রশংসা করেন ও’ব্রেইন। এ প্রসঙ্গে লেখক শেখ হাসিনার উক্তি উদ্ধৃত করেন ‘বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত ও ক্ষুধামুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলেই আমি গর্বিত হব।
গ্রন্থে প্রধানমন্ত্রীর পারিবারিক পটভূমি উল্লেখ করা হয়। শেখ হাসিনার পিতা শেখ মুজিবুর রহমান আধুনিক বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং তিনি দেশটির প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন। লেখক ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকা-ের বর্ণনা দিয়ে উল্লেখ করেন যে, ওই সময়ে শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহেনা দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান।
লেখক এরশাদ শাসনামলের উল্লেখ করে বলেন, সরকারের নির্যাতন সত্ত্বেও শেখ হাসিনা এতই প্রভাবশালী ও জনপ্রিয় ছিলেন যে, তার চাপে ১৯৯০ সালে একজন সামরিক জান্তাকে পদত্যাগ করতে হয়।
গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার কঠোর পরিশ্রম ও একনিষ্ঠতার বিষয়টি গ্রন্থে তুলে ধরেন ও’ব্রেইন। আর এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে তিনবার প্রধানমন্ত্রী নির্বািচিত করেন।
‘