নিষেধাজ্ঞা উঠছে অ্যাথলেটিকসের
নিজস্ব প্রতিবেদক: কয়েক মাস ধরে আইএএএফের (আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন) সঙ্গে সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছিল না বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের। ২০১৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটিকসের অভিভাবক সংস্থাটির কাছে আগের বছরের বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠানোর কথা ছিল। গত বছরের ৩ মে ছিল এই প্রতিবেদন পাঠানোর শেষ সময়সীমা। কিন্তু ওই প্রতিবেদন না পেয়ে আইএএএফ থেকে বারবার যোগাযোগ করা হয় বাংলাদেশের সঙ্গে। এরপরও সাড়া দেননি ওই সময়ের কার্যনির্বাহী কমিটির কর্মকর্তারা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের মে মাসে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের ওপর নেমে আসে আইএএএফের নিষেধাজ্ঞা। বৈশ্বিক সিরিজে অ্যাথলেট পাঠানো বাবদ আইএএএফ যে আর্থিক অনুদান দিত, সেটি বন্ধ হয়ে যায়। সেই নিষেধাজ্ঞা অবশেষে উঠতে চলেছে। ফেডারেশনের সভাপতি এ এস এম আলী কবির তেমন আভাসই দিলেন কাল, ‘গত ১২ মে আইএএএফ থেকে একটা মেইল পেয়েছি। চিঠিতে তারা জানিয়েছে, আগামী মাসে বিশ্ব যুব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ ও আগস্টের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে আমাদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা থাকছে না। আমরা নাইরোবিতে যুব চ্যাম্পিয়নশিপে জহিরকে পাঠাচ্ছি, লন্ডনে বিশ্ব অ্যাথলেটিকসে যাচ্ছে মেজবাহ। এটাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি। আমাদের এই নিষেধাজ্ঞা কিছুটা হলেও শিথিল হচ্ছে।’ কেনিয়ায় ১২-১৬ জুলাই অনুষ্ঠেয় বিশ্ব যুব চ্যাম্পিয়নশিপে ৪০০ মিটারে অংশ নেবেন জহির রায়হান, লন্ডনে ৪-১৩ আগস্টের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে দৌড়াবেন দেশের দ্রুততম মানব মেজবাহ।
গত মার্চে অ্যাডহক কমিটি দায়িত্ব নিয়েই এই নিষেধাজ্ঞা ওঠানোর ব্যাপারে তোড়জোড় শুরু করে। এরই প্রক্রিয়া হিসেবে গত ১৫ মে হাইপারফরম্যান্স ট্রেনিং কোর্সে অংশ নিতে চীন যাওয়ার সুযোগ মেলে দুই অ্যাথলেট ইমতিয়াজ হোসেন ও শফিকুল ইসলামের। চীনের শেনইয়াং ক্রীড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেনিং শেষে ১৫ নভেম্বর দেশে ফেরার কথা তাঁদের। এ ছাড়া এশিয়ান অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে গত ২০ জুন ভারতের ভুবনেশ্বরে গেছেন ১৮ জন অ্যাথলেট। বর্তমানে তিনজন কোচ চীনে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। আলী কবির এসব দেখছেন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, ‘বার্ষিক অনুদান বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই আমরা যোগাযোগ করে চলেছি আইএএএফের সঙ্গে।
গত ২৫ মার্চের মধ্যে বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠিয়েছি আইএএএফ সদর দপ্তর মোনাকোতে। এরপর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আসরে বাংলাদেশ অংশগ্রহণ করতে শুরু করেছে। আশা করছি, এর মাধ্যমে বিশ্ব সংস্থার সঙ্গে আমাদের দূরত্বটা অনেকখানি ঘুচবে।’ এসএ গেমস সামনে রেখে বছরব্যাপী প্রশিক্ষণ ক্যাম্প করার পরিকল্পনা রয়েছে ফেডারেশনের। ছয় মাস অনুশীলন হবে দেশের বাইরে। এ ব্যাপারে ভারত, চীন ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে আলোচনাও চলছে।
আলী কবির ভীষণ আশাবাদী এই অনুশীলনের ব্যাপারে, ‘এরই মধ্যে বিওএ মহাসচিবের সঙ্গে কথা বলেছি বিদেশি কোচ নিয়োগের ব্যাপারে। বিওএ থেকে প্রতিশ্রুতিও পেয়েছি। আশা করি, এসএ গেমসে এবার অন্তত ভালো কিছু করতে পারবে বাংলাদেশ।’