মৌলভীবাজারে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
স্বপন কুমার দেব, মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজারের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। মৌলভীবাজার-বড়লেখা- আঞ্চলিক মহাসড়কে ঝুকি নিয়ে এতদিন ২-৪টি যানবাহন চলাচল করলেও সড়কে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গত ৩ সপ্তাহ ধরে জেলার ৫টি উপজেলার ২০ ইউনিয়নের প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। ঘর-বাড়ি নিমজ্জিত হয়ে রান্নাবান্না করার মতো শুকনো কোন জায়গা না থাকায় লোকজন সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া গৃহহীন মানুষগুলো এখনও সরকারী ত্রাণ সহায়তা পায়নি। দুর্গত এলাকায় শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। গতকাল সরেজমিনে জেলার রাজনগর,কুলাউড়া,জুড়ি ও বড়লেখার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়- প্রায় প্রত্যেকটি গ্রামের ঘরবাড়ির আঙ্গিনা, বসতঘর ২ থেকে ৫-৬ ফুট পর্যন্ত বন্যার পানিতে নিমজ্জিত থাকতে দেখা গেছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে থাকায় বাজার-হাট করাও তাদের সম্ভব হচ্ছে না। হাজার হাজার পানিবন্দী মানুষ অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বন্যা দুর্গত এলাকায় এখনও সরকারি ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়নি বলে লোকজন অভিযোগ করেন। রান্না করার মতো কোন শুকনো জায়গাও অবশিষ্ট নেই। এরমধ্যে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।এদিকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে।
আজ ঈদের বন্ধ শেষে প্রতিষ্ঠানগুলো খুলছে। ৬ জুলাই থেকে অর্ধবার্ষিক ও প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু বন্যা পরিস্থিতির অবনতিতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণার চিন্তা ভাবনা করছেন। সম্পাদনা : মুরাদ হাসান