রিমু সিদ্দিক : আগামী জানুয়ারিতে শুরু হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক বা ই-পাসপোর্টের ব্যবহার আর তা শুরু হলে চোখের মণির ছাপ দিয়েই খুলে যাবে বিমানবন্দরের ফটক। এতে পাসপোর্ট জালিয়াতি বন্ধ হবে বলে আশা করছে বর্হিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর। এছাড়া বাড়বে পাসপোর্টের মেয়াদ ও ফি।
এমআরপি পাসপোর্ট ইস্যু করা শুরু ২০১০ সালের পহেলা এপ্রিল। এমআরপি চালু হলেও বন্ধ হয়নি পাসপোর্ট নিয়ে নয় ছয়। মিথ্যা তথ্য দিয়ে চলছে পাসপোর্ট নিয়ে জালিয়াতি। এমআরপিতে জালিয়াতি বন্ধ করা এবং জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতেই গেলো বছর ই- পাসপোর্ট চালুর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার ।
বহি:গমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মাসুদ ব্রেজওয়ান জানান, এখনও এমআরপি পাসপোর্টে ছবি বদলে অনেক কিছু করা যেতে পারে। কিন্তু ই-পাসপোর্টে কোনোরকম জালিয়াতি সম্ভব না।
ই-পাসপোর্ট চালু হলে গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের চোখের মণির ছাপ নিবে যন্ত্র আর পাসপোর্টের সঙ্গে চোখের মণি মিলে গেলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে খোলে যাবে -ইগেট। ই-পাসপোর্ট হাতে পেতে খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না বলেও আশাবাদী মো. মাসুদ ব্রেজওয়ান । তিনি জানান খুব শিগগিরই ই-পাসপোর্ট হাতে পেতে কি পরিমাণ যন্ত্রাংশ প্রয়োজন তা নিয়ে নিয়মিত মিটিং করছি। সব কিছু মিলে ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির প্রথম দিকেই এর কার্যক্রম শুরু করতে পারবো।
১১৮টির বেশি দেশে চালু হয়েছে ই-পাসপোর্ট। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাই এই পাসপোর্টের মেয়াদ হবে ১০ বছর সেই সঙ্গে বাড়বে ফি। সূত্র : ডিবিসি নিউজ